মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

আপনি ভোটার হয়েছেন কিন্ত আপনার কাছে Nid Number, ভোটার নম্বর কিংবা ভোটার নিবন্ধন ফরমের নম্বর কোনটাই নেই। তাহলে কিভাবে অনলাইন থেকে Nid Card Download করবেন? আজকে সেই বিষয়েই বিস্তারিত তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবো। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন তাহলে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। 

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার জন্য একটা শর্ত রয়েছে। আপনার ক্ষেত্রে যদি সেই শর্ত অনুকূলে থাকে তবেই আপনি এই পদ্ধতিতে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায়।

{tocify} Stitle={Custom Title}

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার শর্ত

আমরা জানি নতুন ভোটার হওয়ার সময় ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ পূরণ করতে হয় এবং ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভোটার হতে হয়। এখন কথা হচ্ছে আপনি যখন ভোটার হওয়ার জন্য ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করেছিলেন তখন ফরমে অপর পাতায় যে মোবাইল নাম্বারটি লিখেছিলেন কেবলমাত্র সেই মোবাইল নাম্বার দিয়েই ভোটার আইডি কার্ড বের করা সম্ভব। অর্থাৎ ভোটার হওয়ার সময় যে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করেছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারই প্রয়োজন হবে। 

কিন্ত যদি ভোটার নিবন্ধন ফরমে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ব্যতীত অন্য কোন মোবাইল নাম্বর দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে চান তাহলে সেটা অসম্ভব নয় তবে পদ্ধতিটা বেশ জটিল। আমরা দুইটা উপায় সম্পর্কেই জানবো। 

মোবাইল নাম্বার দিয়ে কি কি উপায়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায়?

আপনার কাছে যদি আপনার ভোটার তথ্য না থাকে যেমন- আইডি নম্বর অথবা ভোটার নিবন্ধন ফরম নম্বর, জন্ম তারিখ ইত্যাদি। তাহলে মোবাইল নম্বার দিয়ে দুইটি উপায়ে আপনি আপনার ভোটার তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন। ভোটার তথ্য অনুসন্ধান করে যদি আইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ পেয়ে যান তাহলে খুব সহজেই ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী কাজে লাগাতে পাবেন।

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার প্রথম উপায়

আপনার কাছে যে মোবাইল নাম্বারটি রয়েছে সেটি কি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা? যদি তাই হয় তাহলে যে কোম্পানীর সীম আপনি ব্যবহার করছেন সেই কোম্পানীর কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। 

আপনার কাছে থাকা সীমটি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে তারা অবশ্যই আপনাকে আপনার Nid Number এবং জন্ম তারিখ দিয়ে সহায়তা করবে। কারণ সীম রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ এবং হাতের ছাপ ব্যবহার করা হয়েছিলো। 

আপনার সীমের বিস্তারিত তথ্যে অবশ্যই তাদের সার্ভারে সংরক্ষিত রয়েছে। সেখান থেকে আইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ সংগ্রহ করুন। আইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ পাওয়ার পর অনলাইন থেকে খুব সহজে Nid Card Download করতে পারবেন।

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার দ্বিতীয় উপায়

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার প্রথম উপায়টি জটিল হলেও দ্বিতীয় ্‌উপায়টি ততটা জটিল না। এই উপায়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ভোটার তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন। তবে শর্ত একটাই যে, অবশ্যই ভোটার হওয়ার সময় নিবন্ধন ফরমে আপনার মোবাইল নাম্বারটি লেখা থাকতে হবে। 

যদি আপনি এই শর্তের অনকূলে থাকেন তাহলে মোবাইল নম্বর নিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাবেন। সেখানে গিয়ে স্টাফদের কাছে বলবেন "আপনার কাছে আপনার ভোটার তথ্য যেমন- এনআইডি নম্বর অথবা ফরম নম্বর, জন্ম তারিখ ইত্যাদি কিছুই নেই। আমি আমার মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে ভোটার তথ্য খুজতে এসেছি। কারণ ভোটার হওয়ার সময় আমি নিবন্ধন ফরমে এই মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেছিলাম। দয়া করে আমার মোবাইল নম্বর দিয়ে এনআইডি'র সার্ভার থেকে ভোটার তথ্য খুজে দিন"

তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে আপনার ভোটার তথ্য খুজে দেবে। এই উপায়ে অর্থাৎ ভোটার নিবন্ধন ফরমে থাকা মোবাইল নম্বর দিয়ে খুব সহজেই এনআইডি'র সার্ভার থেকে ভোটার তথ্য খুজে পাওয়া সম্ভব। আপনার ভোটার তথ্য পাওয়া গেলে সেখান থেকে এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ এবং প্রয়োজনে সঠিক ঠিকানা সংগ্রহ করুন। 

তারপর Bangladesh Nid Application System এর ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এ গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরী করে ভোটার আইডি কার্ড বের করুন। 

সরাসরি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হলে Nid Number অথবা ভোটার নিবন্ধন ফরমের নম্বর, জন্ম তারিখ, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। তাছাড়া দ্বিতীয় কোন কিছুর মাধ্যমে অনলাইন থেকে আইডি কার্ড বের করা যায় না। 

সুতরাং সরাসরি মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার কোন প্রকার সুযোগ নেই। তাই অযথা সময় নষ্ট না করে উল্লেখিত দুইটি উপায়ের মধ্যে যে কোন একটি উপায়ের মাধ্যমে আপনার ভোটার তথ্য বের করুন। তারপর আইডি কার্ড বের করার চেষ্টা করুন।

অফিস থেকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার তথ্য বের না করে দিলে

আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, নিবন্ধন ফরমে থাকা মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে সার্ভার থেকে ভোটার তথ্য খুজে পাওয়া যায়। কিন্ত যদি ভোটার করার সময় অপারেটর কাজে ফাঁকি দিয়ে আপনার মোবাইল নম্বর সার্ভারে এন্ট্রি না করে থাকে তাহলে এই নিয়মটি ব্যর্থ।

অথবা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী কোন প্রকার চেষ্টা না করেই যদি এ সমস্যা, সে সমস্যা, এটা হয় না ইত্যাদি বলে আপনাকে ফেরত পাঠায়। তাহলে ধরে নেবেন তিনি আপনার কাজ করে দেবেন না। যদি সত্যি সত্যি আপনার মোবাইল নাম্বার আপনার ভোটার তথ্যের সাথে সার্ভারে থাকে তাহলে সেই মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে ভোটার তথ্য খুজে পেতে সর্বোচ্চ ২ মিনিট সময় লাগতে পারে। 

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায় সরাসরি মোবাইল নাম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায় না। ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হলে এনআইডি নম্বর অথবা ভোটার নিবন্ধন ফরমের নম্বর, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। আপনার কাছে যদি এ সকল তথ্য না থাকে তাহলে উক্ত উপায়ে ভোটার তথ্য অনুসন্ধন করতে পারেন।

এই ছিলো মোবাইল নাম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। এ বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন