অনলাইনে Nid Seba চালু হওয়ায় পর থেকে অনেকেই ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস খুজে থাকেন। ভোটার কার্ড সংশোধন করার জন্য সত্যি কি কোন অ্যাপস অনলাইনে রয়েছে? যিনি এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেন তিনি অবশ্যই সচেতন নাগরিক। কিন্ত যারা সঠিক তথ্য না জেনে অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস খুজতে থাকেন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য। তাদের জন্য আজকের এই পোষ্ট।
এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কি কি উপায় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আবেদন করা যায়। সেই সাথে জানতে পারবেন অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস খোজা কতটা যুক্তিযুক্ত। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
{tocify} Stitle={Custom Title}
ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার জন্য যারা ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস খুজে থাকেন তাদের উদ্দেশ্য এটাই বলবো যে, এখন পর্যন্ত কোন অ্যাপসের মাধ্যমে ভোটার কার্ড সংশোধনের আবেদন করা যায় না।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন Nid Wallet নামের একটি অ্যাপস তৈরী করেছে ঠিকই। কিন্ত সেটি দিয়ে ভোটার কার্ড সংশোধনের আবেদন করা যায় না। Nid Wallet App ব্যবহার করতে হয় Nid Application System এ একাউন্ট তৈরী করার সময় মূল ব্যক্তির ফেস ভেরিফাই করার জন্য।
Nid Account তৈরী করার সময় মূল ব্যক্তি উপস্থিত রয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য Nid Wallet App তৈরী করেছে নির্বাচন কমিশন। যাতে একজনের একাউন্টে অন্য কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে এবং ভোটার তথ্যের অপব্যবহার না করে। তাহলে বুঝলেন তো, ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস নেই। Nid Wallet নামের যে অ্যাপসটি রয়েছে সেটি হচ্ছে Nid Account এর নিরাপত্তার জন্য।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার উপায়
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আবেদন করা যায় দুইটি উপায়ে। উপায় দুইটি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো। এই দুইটি উপায় ছাড়া আর কোন উপায়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার আবেদন করা যায় না।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো Bangladesh Nid Application System এ একাউন্ট তৈরী করে সেখান থেকে সংশোধনের আবেদন সাবমিট করা। এই কাজ ঘরে বসে নিজে নিজেই করা যায়। এতে সময় এবং শ্রম উভয়ই লাঘব হয়।
Nid Fee পরিশোধ করার জন্য উত্তম উপায় বিকাশের মাধ্যমে Nid ফি পরিশোধ করা অথবা রকেট অ্যাপ থেকে Nid ফি পরিশোধ করা। কোন ব্যাংক কিংবা দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
আবেদন করার সময় কাগজপত্রের ছবি তুলে কিংবা স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল তৈরী করে আপলোড করা যায়। মূল কাগজপত্র নিয়ে অফিসে জমা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
অফিসে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করা। এ ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ২ পূরণ করে ্আবেদন করতে হয়।
আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়। Nid Fee বিকাশের মাধ্যমে অথবা রকেট একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। তবে আবেদনের উপর ফি পরিশোধের Transaction Number লিখে দিতে হবে।
অফিসে আবেদন করার ক্ষেত্রেও আবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র এই দুইটি উপায়েই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে। এর বাইরে কোন উপায়েই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার সুযোগ নেই।
পরিশেষে
পরিশেষে বলা যায় যে, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য উপায় রয়েছে দুইটি। অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে অথবা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস তৈরী হয়নি।
এই ছিলো ভোটার কার্ড সংশোধন অ্যাপস এবং ভোটার কার্ড সংশোধন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য। এ বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদরে প্রশ্নের উত্তর দিতে অবশ্যই চেষ্টা করবো। লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!