স্মার্ট কার্ড না নিলে কি হবে - নির্ধারিত তারিখে স্মার্ট কার্ড নিতে না পারলে করণীয়

স্মার্ট কার্ড না নিলে কি হবে - নির্ধারিত তারিখে স্মার্ট কার্ড নিতে না পারলে করণীয়

স্মার্ট কার্ড না নিলে কি হবে

আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন প্রয়োজনে নিজ এলাকা থেকে বাইরে গিয়ে বসবাস করতে হয়। ফলে নির্ধারিত তারিখে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেন না। এমনও হয় পরবর্তীতেও সময় হয়ে ওঠে না স্মার্ট কার্ড নেয়ার জন্য। তখন মনে প্রশ্ন জাগে স্মার্ট কার্ড না নিলে কি হবে? যাদের মনে এমন প্রশ্ন আসে তাদের জন্যই আজকের এই পোষ্ট। পড়তে থাকুন হতে পারে আপনার উপকারে আসবে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট কার্ড বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখছে। কারণ স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে একজন নাগরিক এখন পর্যন্ত ২২ ধরণের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। পরবর্তীতে সেবার পরিধি আরো বাড়ানো হতে পারে।

{tocify} Stitle={Custom Title}

স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নাগরিকের জন্য স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরী করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রেরণ করে। অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণের করার জন্য সিডিউল তৈরী করা হয়। তারপর স্মার্ট কার্ড বিতরণ টিমের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়ে থাকে। 

কিন্ত বিতরণ কেন্দ্র থেকে সকল স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হয় না। কারণ অনেকেই বিতরণ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারে না। তাই অবিতরণকৃত স্মার্ট এনআইডি কার্ডগুলো উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংরক্ষণ করা হয়।

স্মার্ট এনআইডি কার্ড না নিলে কি হবে?

স্মার্ট কার্ড না নিলে কি হবে এই প্রশ্ন মনে আসার আগে একটু ভাবুন কেন স্মার্ট কার্ড নেবেন না? নেয়ার সময় পাচ্ছেন না তাইতো? বেশ, আপনি যদি স্মার্ট কার্ড না নেন  তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কিছুই হবে না। যা হবার তা আপনারই হবে। স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যে সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলো থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন আপনার জন্য যখন সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি স্মার্ট কার্ড তৈরী করে দিচ্ছে তখন আপনার উচিত হবে সেটি গ্রহণ করা। অন্যথা অফিস থেকে কোন না কোন ভাবে যদি আপনার স্মার্ট কার্ডটি মিসিং হয়ে যায় তাহলে আর পেলেন না। 

কারণ এমন ঘটনা ঘটে এটা আমি লক্ষ্য করেছি। এক ব্যক্তি বহু দিন পর স্মার্ট কার্ড নিতে এসেছে কিন্ত তার কার্ড অনেক খোজা খুজি করেও পাওয়া গেলো না। শেষে তাকে খালি হাতে ফিরে যেতে হলো। 

যদি মনে করেন ফ্রিতে দেয়া স্মার্ট কার্ডটি না পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আবেদন করে আরো একটি স্মার্ট কার্ড তুলে নেয়া যাবে। তাহলে আপতত সেগুড়েও বালি। কারণ এখন পর্যন্ত আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তোলার সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। হয়তো পরবর্তীতে অবশ্যই এই সুযোগ আসবে। তবে কতদিন সময় লাগবে আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তুলতে সেটা এখনি বলা সম্ভব না। 

যখন আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তোলার সুযোগ দেয়া হবে তখন অবশ্যই মোটা অংকের একটি সরকারি ফি গুনতে হতে পারে। পেপার লেমিনেটিং করা সাময়িক জাতীয় পরিচয় পত্র তুলতেই যদি ২৩০ টাকা সরকারি ফি জমা দিতে হয় তাহলে স্মার্ট কার্ডের মত একটি একটি কার্ড আবেদন করে তুলতে কত টাকা ফি জমা দিতে হবে একটু ভেবে দেখুন।

নির্ধারিত তারিখে স্মার্ট কার্ড নিতে না পারলে করণীয় কি?

এটা সঠিক যে স্মার্ট কার্ড বিতরণের দিন সবাই বিতরণ কেন্দ্রে আসতে পারে না। অনেকেই ব্যস্ততার কারণ নিজ এলাকা থেকে বহু দুরে অবস্থান করে। যদি আপনি নির্ধারিত তারিখে স্মার্ট কার্ড নিতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে নেয়ার জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। তাহলে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

তবে অবশ্যই পুরাতন এনআইডি কার্ড অথবা ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি সাথে নিয়ে যাবেন। তা না হলে জরুরী ফি হিসেবে ৩৪৫ টাকা ফি জমা দেয়া লাগতে পারে। আপনি যদি ২০১৯ সালের আগে নতুন ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে স্মার্ট কার্ড দেয়ার সময় আপনার দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান করে নেবে।

অনেক অফিস থেকেই বলতে পারে দশ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান করা লাগবে না এমনিতেই কার্ড নিয়ে যান। তাহলে তাদেরকে বলবেন ভোটার হওয়ার সময় মাত্র  চার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হয়েছি। আমার দশ আঙ্গুলের ছাপ আপডেট করে নিন। হাতের ছাপ ও আইরিশ দেয়ার জন্য আমি পরবর্তীতে আসার সময় পাবো না। 

দশ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান করলে আপনার স্মার্ট কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত আর কোন সমস্যা আসবে না। এতে আপনার জন্য ্উপকারই হবে। তাছাড়া এনআইডি কার্ডের প্রতিটি তথ্য সর্বদা আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন।

পরিশেষে

পরিশেষে আপনাদেরকে এটাই বলবো যে, স্মার্ট কার্ড না নিলে কি হবে এমন প্রশ্ন মনে না এনে সময় করে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করুন। স্মার্ট কার্ড শুধু স্মার্ট কার্ড নয় এটা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র। এটা প্রমাণ করে আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। 

এই ছিলো স্মার্ট কার্ড নেয়া আর না নেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। এ বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন অথবা আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অবশ্যই চেষ্টা করবো। লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন