বিকাশের মাধ্যমে Nid ফি জমা দেওয়ার নিয়ম - Nid Fee Payment By Bkash
Nid Card সংশোধন করার জন্য কিংবা Nid Card রিইস্যুর আবেদন করার জন্য নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিতে হয়। Nid Fee Payment করার জন্য বেশ কয়েকটা উপায় রয়েছে। তার মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে Nid ফি জমা দেয়ার নিয়ম সবচেয়ে সহজ। দ্বিতীয় সহজ উপায় হচ্ছে রকেটের মাধ্যমে Nid Fee Payment করা। তবে আজকে আপনাদেরকে বিকাশের মাধ্যমে Nid ফি জমা দেয়ার নিময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেবো। নিম্নোক্ত উপায়ে আপনারা খুব সহজে নিজেই নিজের বিকাশ একাউন্ট থেকে Nid Card Correction Fee অথবা Nid Card Reissue Fee জমা দিতে পারবেন।
আগেই একটা কথা বলে রাখি যে, Nid Fee Payment করার জন্য আপনার স্মার্ট ফোনে বিকাশ অ্যাপ থাকতে হবে। আমি বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে Nid রিইস্যু আবেদন করার জন্য ফি জমা দিবো। সেই সাথে Nid সংশোধনের আবেদন করার ক্ষেত্রে কিভাবে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ফি জমা দিতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে Nid ফি পরিশোধ করার নিয়ম - Nid Fee Payment By Bkash
আগেই বলেছি বিকাশের মাধ্যমে Nid Fee Payment করার নিয়মটা খুব সহজ। এনআইডি ফি পরিশোধ করার জন্য আমি যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছি আপনারা আপনাদের Nid Fee জমা দেয়ার জন্য স্টেপগুলো ফলো করুন।
প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপ ওপেন করুন। তারপর Pay Bill অপশনে ক্লিক করুন (১ নং নমুনা ছবি)। ২ নং নমুন ছবির মত পেজ আসবে, এখান থেকে Search Organization এ Nid টাইপ করুন। তাহলে নিচে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের লোগোসহ Nid Service অপশন দেখতে পারবেন, সেখানে ক্লিক করুন।
Nid Info Correction
Application Type Nid Info Correction সিলেক্ট করে Nid Fee Payment করলে এনআইডি কার্ডের উপরে যে সব তথ্য লেখা থাকে যেমন- বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, গ্রামের নাম, পোস্ট কোড, মৌজার নাম , জন্ম জেলা, র'ক্তের গ্রুপ ইত্যাদি সংশোধন করা যায়।
Other Info Correction
Application Type Other Info Correction সিলেক্ট করে
Nid Fee Payment করলে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডের সেই সকল তথ্য সংশোধন করা যায় যেগুলো Nid Card এর উপর লেখা থাকে না যেমন-
স্বামী/স্ত্রীর নাম, পিতা-মাতা ও স্বামীর এনআইডি নম্বর, জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর,
টিন সার্টিফিকেট নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা মোবাইল
নম্বর ইত্যাদি তথ্য সংশোধন করা যায়।
Both Info Correction
Application Type Both Info Correction সিলেক্ট করে Nid Fee Payment করলে যে সকল তথ্য এনআইডি কার্ডের উপর লেখা থাকে এবং যে সকল তথ্য এনআইডি কার্ডের উপর লেখা থাকে না উভয় তথ্যই সংশোধন করা যায়। অর্থাৎ একটা আবেদনে Nid Info এবং Other Info সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
Duplicate Regular
Application Type Duplicate Regular সিলেক্ট করে Nid ফি জমা দিলে Nid রিইস্যু জন্য আবেদন করা যায় এবং আবেদনের ধরণ সাধারণ হয়।
Duplicate Urgent
জরুরীভাবে এনআইডি কার্ড উত্তোলনের জন্য Nid রিইস্যুর আবেদন করতে চাইলে Application Type Duplicate Urgent সিলেক্ট করে Nid ফি জমা দিতে হয়। এক্ষেত্রে ফি এর পরিমাণ সাধারণের থেকে বেশি হয় এবং আবেদনের ধরণ জরুরী বলে গণ্য হয়।
তবে এনআইডি রিইস্যুর আবেদন করার ক্ষেত্রে Duplicate Urgent সিলেক্ট করে Nid Fee Payment না করার জন্য আমি পরামর্শ দেবো। কারণ Duplicate Regular এবং Duplicate Urgent উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় একই পরিমাণ সময় লেগে যায়। সুতরাং Duplicate Urgent সিলেক্ট করে অধিক টাকা ফি পরিশোধ করার কোন মানে হয় না।
সঠিকভাবে Application Type সিলেক্ট করে এবং সঠিকভাবে আবেদনকারীর Nid Number লেখার পরে নিচ থেকে Proceed to Pay বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
পরবর্তী পেজে আসার পর আবেদনকারীর Nid Number, Application Type, Payment Status এবং কত টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে সেই Amount দেখা যাবে (নমুনা ছবি ৫)। বিকাশের মাধ্যমে Nid ফি পরিশোধ করলে এই সুবিধা টা পাওয়া যায় যে, ফি এর পরিমাণ হিসাব করে দেখিয়ে দেয়।
তাছাড়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এনআইড ফি হিসাব করে দেখার অপশন রয়েছে। আবেদনকারীদের উচিত কত টাকা ফি জমা দিতে হবে তা হিসাব করে দেখা। কারণ সব সময় সকলের জন্য একই Nid Fee প্রযোজ্য হবে সেটি ঠিক নয়।
সবকিছু ঠিক আছে কি না তা দেখার পর Tap To Continue বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। পরবর্তী ধাপে (নমুনা ছবি ৬) Nid Number, Application Type, Amount, কত টাকা চার্জ কাটবে, টোটাল কত টাকা খরচ হবে সে তথ্য দেখাবে এবং বিকাশের পিন নম্বর দিতে হবে। তারপর Tap To Continue বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
পরবর্তী ধাপে আসার পর টোটাল কত টাকা ফি কাটবে, কত টাকা ব্যালেন্সে থাকবে, আবেদনকারীর এনআইডি নম্বর এবং আবেদনের ধরণ দেখাবে (নমুনা ছবি ৭)। এখন নিচে Tap and hold for Pay Bill বাটনে প্রেস করে ধরে রাখলে ফি পরিশোধ হয়ে যাবে এবং ৮ নং নমুনা ছবির মত পেজ আসবে।
সেখানে কয় টার সময় এবং কত তারিখে বিল পে করা হলো, Transaction ID, টোটাল কত টাকা খরচ হলো, কত টাকা ব্যালেন্সে থাকলো এবং আবেদনকারীর এনআইডি নম্বর দেখাবে। এখান থেকে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে নিচের ছবির মত পেজ আসবে।
৯নং নমুনা ছবিতে যেমন দেখতে পাচ্ছেন Download Receipt এখানে ক্লিক করলে ১০ নং নমুনা ছবির মত দেখতে একটি Receipt ডাউনলোড হবে। Nid সংশোধন কিংবা Nid রিইস্যুর আবেদন করার সময় এই Receipt টি Pay Slip হিসেবে জমা দিতে হবে।
এই ছিলো বিকাশের মাধ্যমে Nid ফি জমা দেওয়ার নিয়ম। সর্বোচ্চ ২ মিনিট সময় লাগতে পারে উল্লেখিত উপায়ে বিকাশের মাধ্যমে এনআইডি ফি পরিশোধ করতে। আশা করি এ বিষয়ে বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। বিকাশের মাধ্যমে এনআইডি ফি পরিশোধ করার বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!
signature er jonno kon type ta select korte hobe?
উত্তরমুছুনএনআইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করার জন্য ফি পরিশোধের সময় Nid Info Correction সিলেক্ট করবেন।
মুছুন