ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম কি?
আমি বেশ কয়েকবার এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। তাদের একটাই কথা আমার ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চাই। ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম কি? দয়া করে একটু জানালে উপকৃত হবো। আমি তাদেরকে ঠিকই উত্তর দিয়েছি। কিন্ত আমার উত্তরে তাদের মন আরো ভারাক্রান্ত হয়েছে ছাড়া কখনোই খুশি হতে পারেনি। কারণ তারা এমন কিছু সমস্যায় পড়েছে যা তারা কোন ভাবেই সমাধান করতে পারেনি। বিধায় ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ আপনাদের মাঝে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবো। কি কারণে মানুষ ভোটার আইডি কার্ড বা Nid Card বাতিল করার জন্য জিজ্ঞাস করে থাকে.! মুলতই ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করা যায়? যদি Nid Card বাতিল করা যায় তাহলে কিভাবে? পড়তে থাকুন সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
মানুষ কেন ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চায়?
যারা ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চায় তারা প্রকৃতই নিরুপায় হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কারণ তাদের সেই Nid Card দিয়ে আর কোন কাজই তারা করতে পারে না। কাজ করত গেলেও নানা ধরণের সমস্যা সামনে আসে। কেন তাদের এনআইডি কার্ড তারা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারে না? কারন, তাদের এনআইডি কার্ডে এমন কিছু ভুল থাকে যে ভুলগুলো কোনভাবেই সংশোধন করে নিতে পারে না। যেমন-
অল্প বয়সে ভোটার:-
অনেক মানুষ আছে যাদের বয়স না হতেই বেশি বয়স দেখিয়ে নতুন ভোটার হয় এবং ওই Nid Card ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরী করে বিদেশ চলে যায়। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেখে মুলত ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর কিন্ত আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ অনুযায়ী বয়স ৪০ বছরের উপরে হয়ে আছে। যা কোন ভাবেই সংশোধন করাতে পারে না বিধায় ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে নতুন করে আইডি কার্ড করার জন্য চিন্তা ভাবনা করে থাকে।
নাম পরিবর্তন করে ভোটার:-
অনেকে অন্যের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার জন্য নিজের নামের পরিবর্তে সার্টিফিকেটধারীর নাম ব্যবহার করে ভোটার হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সন্তানদের সার্টিফিকেট/কাগজপত্রের সাথে নিজ নামের গড়মিল দেখা দিলে শুরু হয়ে যায় নির্বাচন অফিসে দৌড়াদৌড়ি। কিন্ত এনআইডি কার্ড থেকে সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করা অনেকটাই ঝামেলাপূর্ণ কাজ এবং উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়া কখনোই এমন আবেদন সংশোধন হয় না। ফলে নিজের এনআইডি কার্ডের নাম পরিবর্তনে ব্যার্থ হয়ে Nid Card বাতিল করার জন্য পরিকল্পনা করে থাকে।
তাছাড়া কিছু মানুষ অন্য ব্যক্তির ভিসায় বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিন্ন নাম, ভিন্ন পিতা-মাতার নাম ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরী করে বিদেশ গিয়ে থাকে। পরবর্তীতে এনআইডি কার্ড থেকে তার যাবতীয় তথ্য পরিবর্তণ করতে ব্যার্থ হয়ে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে নতুন করে ভোটার হওয়ার চিন্তা করে থাকে।
না বুঝে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার চিন্তা:-
কিছু মানুষ সঠিক তথ্য না জানার কারণে নিজেদের ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে চায়। কারণ তাদের এনআইডি কার্ডে কিছু না কিছু তথ্য ভুল থাকার কারণে তারা ভেবে নেয় এই কার্ডটি বাতিল করে নতুন করে ভোটার হতে হবে। তা না হলে এই কার্ড দিয়ে কোন কাজ করা যাবে না। এমন ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে তাদের দ্বারা এমন ভুল হয়।
অনেকের Nid Card এ ভুল থাকার করেণে তারা দ্বিতীয়বার ভোটার হয়ে যায়। তারা ভাবে আমার আইডি কার্ডে ভুল আছে এটা দিয়ে আর কাজ হবে না নতুন করে আরো একটি কার্ড করে নিতে হবে। অনেক এমন ভাবে শুধু তাই নয়, অনেকে এমন পরামর্শও দেয়। কারণ আমাদের দেশে যেমন ডাক্তারের অভাব নেই তেমন পরামর্শ দাতারও অভাব নেই। তাই এনআইডি কার্ড সম্পর্কে অন্যের পরামর্শ নেয়ার আগে অবশ্যই একবার নির্বাচন অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।
ভোটার আইডি কার্ড কি বাতিল করা যায়? যদি যায় তাহলে কিভাবে?
একজন ব্যক্তির ভোটার তথ্য দিয়ে এনআইডি কার্ড তৈরী হয়। একটা এনআইডি কার্ড বাতিল করে পুনরায় আরো একটি Nid Card তৈরী করতে হলে আবার ভোটার হতে হবে। তাহলে একটি ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করে পুনরায় আরো একটি Nid Card করতে হলে দুই বার ভোটার হতে হচ্ছে। কিন্ত আইনানুযায়ী এক জন্য ব্যক্তি তো কেবল একবারই ভোটার হতে পারে। একাধিকবার ভোটার হওয়া দন্ডনীয় অপরাধ।
এই কারণে একজন ব্যক্তি কখনোই একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারে না। এখন বলতে পারেন আমি তো একটি এনআইডি কার্ড বাতিল করে তারপর অন্যটি করতে চাচ্ছি তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা এখানেই যে, আপনি আপনার নিজের তথ্য বারবার পরিবর্তন করে ইচ্ছামত সুবিধা নিতে পারবেন না।
ভোটার হওয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার। একজন ব্যক্তি তার সঠিক তথ্য দিয়ে একবারই ভোটার হতে পারবে এবং একটিমাত্র এনআইডি কার্ড পাবে এটাই নিয়ম। সুতরাং, আপনি বেচে থাকতে আপনার এনআইডি কার্ড কখনোই বাতিল করতে পারবেন না। যদি এনআইডি কার্ডের কোন তথ্য ভুল থাকে তাহলে উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে সংশোধন করে নিতে পারবেন।
তবে হ্যা, ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার বা অকেজ করার জন্য একটি উপায় আছে। তা হচ্ছে, আপনাকে মারা যেতে হবে। কারণ মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়। এতে দেশে প্রকৃত মোট ভোটার সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা থাকে। তাই যদি আপনি মারা যান তাহলে হয়তো আপনার ভোটার তথ্য কর্তন করে আইডি কার্ডটি অকেজ করে দেয়া হতে পারে।
তবে মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটিয়েও কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না। কারণ নির্বাচন কমিশন জীবিত, মৃত উভয় ভোটারদের হাতে ছাপ তাদের সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে নাম কর্তন করানোর পর যখন নতুন করে ভোটার হবেন তখন আপনার দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যান করা হবে এবং মেইন সার্ভারে প্রেরণ করা হবে। পূর্বের হাতের ছাপ ও বর্তমান হাতের ছাপ ক্রসম্যাচে ঠিক মিলে যাবে। তখন আপনার ভোটার তথ্য ডুপ্লিকেট করে দেয়া হবে। কখনো এনআইডি কার্ড আসবে না।
সুতরাং, মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন করিয়ে বর্তমান এনআইডি কার্ডটি অকেজ করে আরো বেশি বিপদ ডেকে আনবেন না।
সর্বপরি কি বোঝা গেলো? এই বোঝা গেলো যে, ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার কোন নিয়ম নেই। একমাত্র মারা যাওয়ার পরই ভোটার তথ্য কর্তনের মাধ্যমে Nid Card অকেজ করা হয়। তবে সার্ভারে মৃত ব্যক্তিদেরও তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার চিন্তা যারা করছেন আশা করি তারা খুব ভালোভাবে বুঝে গেছেন এটি একটি বৃথা চেষ্টা। তাই বলছি ভুল থাকলে সংশোধন করার চিন্তা করুন। আর ভবিষ্যতে কেউ তথ্য গোপন করে বা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হবেন না।
এনআইডি কার্ডের যে কোন সমস্যা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকলে বিস্তারিত উল্লেখ করে কমেন্টস করবেন অথবা আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। সবাইকে ধন্যবাদ...!
আসসালামু আলাইকুম স্যার, আমি একটি বিষয় জানতে চাই, তা হলো আমি আনুমানিক ২০০১১/অথবা ১২/সনে ভোটার হয়েছিলাম,কিন্তু তখন আমি এতটা বুঝতামনা, তাই যে সময় এনআইডি কার্ড দিয়েছে আমি তখন গাজীপুর জেলায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি,যখন ছুটি পেয়ে বাড়িতে যাই গিয়ে দেখি আমার নামে কোনো এনআইডি কার্ড আসনি,আমার এলাকার মেম্বারকে জিজ্ঞেস করলে সেও বলতে পারেনি, তারপর উপজেলায় খুঁজ নিয়েই পাইনি,তারপর সেই স্লিপ টিও হারিয়ে ফেলি,তারপর আর গ্রামের বাড়িতে বেশি যাওয়া হয়ইনি, এখন আমি বর্তমান নতুন ভোটার তালিকায় আবার নাম উঠিয়েছি,কিন্তু ভয় হচ্ছে যদি ছবি তুলার সময় আগের ছবিটি ম্যাচ করে,তাহলে আমার কি সমস্যা হবে,হলে আমার কি করনীয়? ও বলে রাখি ভোটার কিন্তু সেই একই ঠিকানা মতেই হচ্ছি।
উত্তরমুছুনএকাধিকবার ভোটার হতে যাবেন না। যেহেতু আগে একবার ভোটার হয়েছিলেন সেহেতু আপনার উচিত সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়া। সেখানে গিয়ে বলবেন আপনি ২০১১-১২ সালের দিকে ভোটার হয়েছিলেন কিন্ত কোন কার্ড পাননি এমনকি কোন তথ্য আপনার কাছে নেই। তাই যদি সম্ভব হয় হাতের ছাপ নিয়ে চেক করে দেখে দিতে পারবেন কি না।
মুছুনতারা আপনার হাতের ছাপ নিয়ে আইডেন্টিটি ভেরিফাই করে দেবে। যদি আগের ভোটার তথ্য বহাল থাকে তাহলে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে দেবে। এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ব্যবহার করে এনআইডি রিইস্যুর আবেদন করতে পারবেন এবং কয়েক দিনের মধ্যেই এনআইডি কার্ড পেয়ে যাবেন। আর যদি তারা আপনার কোন তথ্য খুজে না পায় তাহলে পুনরায় ভোটার হতে পারবেন। তাই বলছি পুনরায় ভোটার হওয়ার আগে আপনার জেলার নির্বাচন অফিসে গিয়ে আইডেন্টিটি যাচাই করুন।
জন্মনিবন্ধন এ নাম একটা আইডি কার্ডে নাম আরেকটা। স্কুলের প্রত্যায়ন পত্রে ও জন্মসনদে এক নাম আইডি কার্ডে আন্য নাম। জন্মনিবন্ধন ও স্কুলের প্রত্যায়ন পত্রে যে নাম সেটা কি আইডি কার্ডে করা যাবে?
উত্তরমুছুনশুধু জন্ম নিবন্ধন সনদ ও স্কুলের প্রত্যয়নপত্র দিয়ে Nid Card এর নাম পরিবর্তন হবে বলে আমার মনে হয় না। টুকটাক একটু ভুল থাকলে সেগুলো হয়তো সংশোধন হতে পারে। কিন্ত যদি সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে সাথে আরো কিছু ডকুমেন্ট জমা দেয়া উচিত। এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য কি কি কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি পোষ্ট দেয়া আছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুনআমার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা।কিন্তু সার্টিফিকেট এর সাথে বয়স মিল নাই।কোনো সমস্যা হবে কি
উত্তরমুছুনহ্যা সমস্যা হবে। সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম সনদের জন্ম তারিখ সংশোধন করে নিন।
মুছুনস্যার, আমি ভোটার হয়েছি ১২কি ১৫ সালে, তখন গার্মেসে চাকরির সুবাদে অন্যের সার্টিফিকের সাথে মিল রেখে করতে হয়।সেটা আমার ভুল। এখন আমি কিভাবে সংশোধন করবো।নির্বাচন অফিসে আমার কাছে।বোর্ড স্কুল সার্টিফিকেট চায়। আমার সেটা নেই।এখন আমার করনীয় কি?এবং কি কি কাগজ লাগবে জানালে খুশি হবো।
উত্তরমুছুনযদি অন্যের সার্টিফিকেটের তথ্য অনুযায়ী ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে তো নিজের নাম, পিতা মাতার না, জন্ম তারিখ সব কিছুই অন্যের তথ্য অনুযায়ী হয়েছে। আপনার নিজের কোন তথ্যই তো এনআইডি কার্ডে আসেনি। এতগুলো তথ্য পরিবর্তন করে দেবে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও যদি আপনার বোর্ডের সার্টিফিকেট থাকতো তাহলে হয়তো একটু সুবিধা হত।
মুছুনযাইহোক, আপাতত সর্ব প্রথম শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন করার জন্য আবেদন করবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন হওয়ার পরে বাকি তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য পুনরায় আবেদন করবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা আগে পরিবর্তন করতে পারলে পরবর্তীতে আর সার্টিফিকেট চাইবে না। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক বা তার উপরে উল্লেখ থাকলে সার্টিফিকেট ছাড়া একটা বিন্দুও পরিবর্তন করে দেবে না। তাই আগে শিক্ষাগত যোগ্যতাটা পরিবর্তন করে নেয়া জরুরী।
আমাদের ওয়েবসাইটে নাম সংশোধন, জন্ম তারিখ সংশোধন, পিতা মাতার নাম সংশোধনসহ এনআইডি কার্ডের প্রত্যেকটি তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন পদ্ধতি কি, কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে আলাদা আলাদা করে পোষ্ট করা আছে। প্রয়োজনে ভিজিট করে দেখতে পারেন।
Assalamualaikum আমার nid cardএর ছবি finger pint, নিয়ে নিয়েছে কিন্তু আমি miss করেছি,, এখন কি করবো আমি একটু জানাবেন please,,,
উত্তরমুছুনঅফিসে খোজ নিন বাদ পড়া ভোটারদের ছবি, স্বাক্ষর এবং বায়োমট্রিক নেয়ার তারিখ সম্পর্কে। যদি বাদ পড়া ভোটারদের কাজও শেষ হয়ে থাকে তাহলে খোজ নিন রিভাইজিং অথোরিটির কার্যক্রম কত তারিখে শুরু হবে। রিভাইজিং অথোরিটির কার্যক্রম জানুয়ারী মাসে হয়ে থাকে। আপনার এলাকায় রিভাইজিং অথোরিটির কার্যক্রম জানুয়ারী মাসের কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে জেনে নিন। রিভাইজিং অথোরিটির কার্যক্রমের সময় কাগজপত্র জমা দিয়ে আপনি ভোটার হতে পারবেন।
মুছুনAssalamualaikum ; amr nid onek age finger soho sob kichu diye hoiyche kintu ekhn ami registrastion korte parchi na . ekhn amr ki kora uchit?
উত্তরমুছুনমোবাইলে কি এনআইডি নম্বরের ম্যাসেজ পেয়েছেন? যদি এখনো এনআইডি নম্বর না পেয়ে থাকেন তাহলে অপেক্ষা করুন ম্যাসেজ আসা পর্যন্ত। এনআইডি নম্বর পেলেই Nid Card Download করার জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অথবা ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নিয়ে অফিসে গিয়ে চেক করে আসতে পারেন ভোটার তথ্যে কোন সমস্যা হয়েছে কি না।
মুছুনঅনলাইনে এনআইডি সংশোধন করলে ফী কিভাবে দিবো।
উত্তরমুছুনএনআইডি কার্ড সংশোধন ফি বিকাশ এবং রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। রকেটের মাধ্যমে এনআইডি সংশোধন ফি জমা দেয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা আছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুনবয়স হবার আগেই ভোটার হয়ে গিয়েছি😢, এখন করনীয় কি?
উত্তরমুছুনভুল টা মুলত যিনি নিবন্ধন করেছিলেন তিনি করেছেন,আমি তখন তেমন বুজতাম না গণহারে সবাই ভোটার হচ্ছিলো সাথে আমিও গিয়েছিলাম। বয়স কম ছিলো ভোটার হতে পারবো না এটা অই ব্যাক্তি আমাকে বলেই নাই।উলটা ফ্রমে নিজের মন মত একটা বয়স বসিয়ে দিয়েছে😢এখন কি করনীয় দোয়া করে বলবেন?সার্টিফিকেট সাথে ৪ বছর ডিফারেন্ট।
সার্টিফিকেটের তথ্য অনুযায়ী এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য চেষ্টা করুন।
মুছুনআমার আম্মুর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তাই তার জন্ম স্থানেই ভোটার হন কিন্তু বিয়ের পরে স্থানীয় ঠিকানায় ভোট দিতে পারছেন না।তাই ভোটার ঠিকানা স্থানান্তর করতে চাই এবং যে আগের এনআইডি কার্ড আছে তাতে নামের ভুল আছে। এখন স্থানান্তর করতে হবে আবার নামের সংশোধন ও করতে হবে এখন কিভাবে কি করব বুঝতে পারছি না তাই আপনাদের পরামর্শ চাচ্ছি।
উত্তরমুছুনআগে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন করুন। স্থানান্তর হয়ে যাওয়ার পর আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। স্থানান্তর এবং সংশোধন দুইটা আলাদা আলাদা বিষয়। তাই একবারে দুইটা আবেদন করা যাবে না একটা একটা করে আবেদন করতে হবে। নাম সংশোধন হয়ে গেলে নতুন একটি সংশোধিত এনআইডি কার্ড পাওয়া যাবে।
মুছুনআমার বাবা চাঁদপুরে জন্ম নিবন্ধন করা। কিন্তু উনার NID নারায়ণগঞ্জ করা। এমত অবস্থায় উনার NID এখন চাঁদপুর ট্রান্সফার করতে চাচ্ছি কিন্তু বাবার নিবন্ধনের সাথে NID এর জন্মতারিখ এবং সম্পূর্ণ নাম মিল নেই। যেমন একটার মধ্যে চন্দ্র আছে আরেকটা তে নেই আবার জন্মতারিখ প্রায় ৫ বছরের পার্থক্য আবার বাবার মায়ের নামে বানান ভুল। এমত অবস্থায় কি করনীয়।
উত্তরমুছুনভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য জন্ম সনদের কোন প্রয়োজন নেই। ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম এবং কি কি কাগজপত্র লাগে সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা হয়েছে। বিস্তারিত পড়ে দেখুন এবং উল্লেখিত উপায়ে আবেদন করুন হয়ে যাবে।
মুছুনআর বিশেষ প্রয়োজন না হলে নাম এবং জন্ম তারিখের ভুল সংশোধনের আবেদন না করাই ভালো। কারণ উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রমাণ না করাতে পারলে আবেদন অনুমোদন হবে না বরং ভোগান্তি হবে।
তারপরও যদি আইডি কার্ডের নাম সংশোধন এবং আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চান তাহলে সে বিষয়েও বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। সে অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন।
আমি জন্ননিবন্ধন দিয়ে এনআইডি করার পর বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে বয়স কম হওয়ায় বোড অফিসে যোগাযোগ করলে তারা একটি নতুন জন্ননিবন্ধন তৈরি করে দেয় এবং ওইটা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করি এতে কি কোন সমস্যা হবে ।এখন আমার জন্ননিবন্ধন দুইটা।
উত্তরমুছুনহ্যা সমস্যা হবে। ভবিষ্যতে যখন ভিসা নিতে যাবেন তখন এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়বে। পাসপোর্ট এবং এনআইডি কার্ডের বসয় গড়মিল থাকার কারণে ভিসা পাবেন না। জন্ম সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করা গেলেও সারা জীবন জন্ম সনদ দিয়ে ভিসা নিতে পারবেন না। আগে হোক আর পরে ভিসা নেয়ার ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়বেই।
মুছুন