ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় - অনলাইনে এনআইডি রিইস্যু
আমাদের অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে এবং প্রতিনিয়ত কারো না কারো ভোটার আইডি কার্ড হারাচ্ছে। ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় এই ভেবে যে, হারানো আইডি কার্ড বের করার নিয়ম কি ! যদিও হারিয়ে যাওয়া আইডি কার্ড পাওয়ার উপায় খুব সহজ। তবুও অনেকেই আছে ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে বের করার নিয়ম কি তা ভালো বোঝে না। অনেকেই পরামর্শ দেয় ওমুক দোকানে যা হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে দেবে। দেকানদার তার কাছ থেকে ভালো পরিমাণ টাকা নিয়ে কাজটি করে দেয়।
কিন্ত এই একই কাজ আপনি খুব সহজেই নিজে নিজে করতে পারেন আপনার হাতের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবাহর করে। ভোটার আইডি কার্ড হারিয়েছে ভালো কথা, হারাতেই পারে। ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কি করতে হবে বা ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় কি সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করবো। খুব সহজেই একজন ব্যক্তি তার হারানো ভোটার আইডি কার্ড তুলতে পারবে যদি সে এই পরামর্শ অনুসরণ করে।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথম কাজ
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথম কাজ হবে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি জিডি করা। জিডিতে অবশ্যই এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। যদি আপনার কাছে এনআইডি কার্ডের নম্বর বা কপি না থাকে তাহলে যার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়েছে তার ভোটার নম্বর উল্লেখ করা যাবে। ১২ সংখ্যার এই ভোটার নম্বর ভোটার তালিকা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর/কাউন্সিলরের কাছে অথবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকা আছে।
হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড তোলার আবেদন পদ্ধতি
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে, থানায় জিডি করা হয়েছে এখন আবেদন করার দুইটি উপায় আছে।
প্রথমত, সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস গিয়ে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন ফরম- ৬ সংগ্রহ করতে হবে। ফরমটি ভালো করে পড়ে নিয়ে পূরণ করতে হবে। তারপর হারানো ভোটার আইডি কার্ড তোলার নির্ধারিত ফি বিকাশের মাধ্যমে এনআইডি ফি পরিশোধ অথবা রকেট অ্যাপের মাধ্যমে এনআইডি রিইস্যু ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি জমাদানের রশিদ এবং জিডির কপি আবেদন ফরম-৬ এর পিছনে পিন-আপ করে অফিসে জমা দিলে আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয়। এক্ষেত্রে আবেদনের নিচের অংশ ছিড়ে আবেদনকারীকে দেয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, অনলাইন Nid রিইস্যু আবেদন করে সহজে ভোটার আইডি কার্ড তুলে নেয়া যায়। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নিজেই নিজের হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড তোলার আবেদন করাই সব থেকে সুবিধাজনক। সে জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট services.nidw.gov.bd এই ঠিকানায় গিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর রিইস্যু অপশনে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড তোলার আবেদন দাখিল করা যাবে। তবে আবেদন দাখিল করার আগে অবশ্যই হারানো ভোটার আইডি কার্ড তোলার নির্ধারিত ফি হিসাব করে নিয়ে রকেট/বিকাশ এ্যাপের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
আবেদন সাবমিট করা হয়ে গেলে আবেদনের একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করা যাবে এবং সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে কাছে রেখে দিতে পারেন। পরবর্তীতে কখনো অফিসে গিয়ে খোজ নিতে চাইলে আবেদনের ওই কপিটি সাথে নিয়ে যেতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে পুনরায় তোলার জন্য অনলাইনে আবেদন দাখিল করার সময় পুনমুদ্রণের কারণ হিসেবে হারিয়ে গেছে না সিলেক্ট করে ঠিকানা পরিবর্তণ সিলেক্ট করেও ভোটার আইডি কার্ড তোলার আবেদন সাবমিট করা যায়। যারা ভোটার এলাকা স্থানান্তর করেছে তাদের জন্য এই নিয়ম।
এক্ষেত্রে আবেদনের সাথে জিডির কোন তথ্য দেয়া লাগবে না এবং জিডির কপিও দেয়া লাগবে না। শুধু ফি জমা দিলেই ভোটার আইডি কার্ড তোলা আবেদন সাবমিট করা যায়। আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে অনলাইনে আবেদন করার সময় ঠিকানা পরিবর্তণ সিলেক্ট করে আবেদন দাখিল করে দেখতে পারনে। ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের কোন আবেদনই বাতিল হয় না।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথে আবেদনকারীর মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। ৩-৫ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যায়।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার সাথে সাথে যদি অনলাইনে লগইন করা যায় তাহলে ডাউনলোড অপশন থেকে মূল ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করা যায়। রঙ্গির পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড হয় কপিটি। ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপিটি সংরক্ষণ করে রাখলে পরবর্তীতে যতবার খুশি ততবার প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কখনো ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে পুনরায় আবেদন করা লাগবে না।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার পর অফিস থেকে একবার কার্ড প্রিন্ট করে ফেললে তখন আর অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ডের কপি ডাউনলোড হয় না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় বিষয় সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। পোষ্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!
আমার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়েছে আমার ভোটার আইডি কার্ডে ভুল আছে তাহলে আমি কি করবো জানাবেন প্লিজ আমি কি ভুল সংশোধনের আবেদন করতে পারবো
উত্তরমুছুনভোটার আইডি কার্ডে ভুল থাকলে একবারে ভুল সংশোধনের আবেদন করুন। তাহলে ভুল সংশোধন হয়ে একটি নতুন কার্ড চলে আসবে। হারানো কার্ডের আবেদন করা লাগবে না।
মুছুনকার্ডটি কি আমি যেখানকার ভোটার সেখানকার অফিস থেকেই সংগ্রহ করতে হবে। নাকি আমি ঢাকার নির্বাচন কমিশন অফিস থেকেও সংগ্রহ করতে পারবো?
উত্তরমুছুনআপনি যে উপজেলার ভোটার সেই উপজেলার নির্বাচন অফিসে গিয়ে কার্ড সংগ্রহ করবেন।
মুছুনআমার ভোটার আইডি কার্ড এ নাম পরিবর্তন করলে কি আমার আগের আইডি কার্ড এ যে স্বাক্ষর ছিল সেটা থাকবে না।।।যেমন আমার নাম ছিল মনি বেগম স্বাক্ষর ছিল মনি।।কিন্তু এখন নাম সংশোধন করে মনিরা বেগম করবো তাহলে কি আমার আগের স্বাক্ষর টা পরিবর্তন হবে
উত্তরমুছুননা, নাম সংশোধন হলে স্বাক্ষর পরিবর্তন হবে না। নামের সাথে সাথে স্বাক্ষরও পরিবর্তন করতে হয়। তবে স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে, অনলাইনে আবেদন করলে হবে না। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে গিয়ে ২ নং সংশোধনী ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করার সময় নামের সাথে সাথে টেবিলের অন্যান্য রো তে পুরাতন স্বাক্ষর ও নতুন স্বাক্ষর উল্লেখ করে দেবেন।
মুছুন
উত্তরমুছুনযদি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি না থাকে এবং নাম্বারও মুখস্ত না থাকে তখন কি করব
ভোটার তালিকা থেকে ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর ও জন্ম তারিখ সংগ্রহ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিয়ে গেলে এনআইডি নম্বর সংগ্রহ করতে পারবেন। ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর/কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান/মহিলা মেম্বরের নিকট পাবেন অথবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে নিজে এলাকার ভোটার তালিকা দেখতে পারবেন।
মুছুনভাই আমি ইনামুল হক। আমার ভোটের আইডি কাড বয়স আছে। ২৪,১০,১৯৯০। আর আমার সাটিফিকেট ও পাসপোর্ট আছে ২৪,১০,১৯৯৪। এখন আমি ভোটার আইডি কাড ১৯৯৪ করতে চাই। আমি অনলাইন আবেদন করছি। বাতিল করে দেছে। বায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে বলছে। তা আমি কি ভাবে আপিল করবো।। আপনার মোবাইল নাম্বার টা দেন। আমার মোবাইল নাম্বার ০১৯৪৯৬০২৬৮০ কল করুন ভাই।
উত্তরমুছুনআমার আইডি কার্ড আরো ৮/৯ বছর আগে হারিয়ে গেছিলো। এখন ওটার নম্বর ও জানি না এবং জন্ম নিবন্ধন এর সাথেও বয়সের মিল ছিলো না,,এখন আমি কীভাবে আইডি কার্ডটি আবার ফিরে পেতে পারি???????প্লিজ বলবেন
উত্তরমুছুনআপনি যেখানে ভোটার হয়েছিলেন সেখানকার ভোটার তালিকায় আপনার নামসহ ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর আছে। ভোটার তালিকা থেকে ভোটার নম্বর সংগ্রহ করে নির্বাচন অফিসে নিয়ে যান তারা এনআইডি নম্বর বের করে দেবে। এনআইডি নম্বর হাতে পেলেই কার্ড উত্তোলনেের আবেদন করতে পারবেন।
মুছুনআমার আব্বু কোন জায়গার ভোটার ছিলো আমি জানি না । আব্বু মারা যাবার পরে তার ভোটার আইডি কার্ড ও আমি পাই নাই । এখন আমার চাকরির জন্য ও নানা প্রয়োজনে তার ভোটার আইডি কার্ড লাগতিছে ।
উত্তরমুছুনএক্ষেত্রে আমি কিভাবে তার ভোটার আইডি কার্ড পেতে পারি?
আপনার আব্বু কোথায় ভোটার ছিলেন সেটা না জানলে তার ভোটার তথ্য কি করে খুজে পাবেন? তিনি কোন এলাকায় ভোটার ছিলেন সেটা আগে খুজে বের করার চেষ্টা করেন। তারপর সেই এলাকার নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার তালিকা থেকে তার ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর সংগ্রহ করুন তাহলে তার এনআইডি কার্ডের তথ্য পাবেন।
মুছুনআমার স্মার্ট কার্ড পিতা ও মাতা নাম ভুল হয়েছে এক্ষেত্রে কিভাবে সংশোধন করব plz জানালে উপকৃত হব
উত্তরমুছুনসংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে অথবা অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে হবে। আমাদের ওয়েবসাইটে এনআইডি কার্ডে পিতা-মাতার নাম সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুনভাই! সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে কি ভোটার তালিকা থাকে? সেখান ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে?
উত্তরমুছুনইউনিয়ন পরিষদে ভোটার তালিকা থাকে না তবে সকল মেম্বর এবং চেয়ারম্যানের নিকট ভোটার তালিকা পেতে পারেন। আমাদের ব্লগে ভোটার তালিকা দেখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম, আমার আই ডি কার্ড হারিয়ে গেছে। আমার এন আই ডি কার্ডের ঠিকানাও পরিবর্তন করতে চাই। একসাথে দুইটি কাজই কি করতে পারি? প্লিজ জানালে উপকৃত হব।
উত্তরমুছুনএক সাথে দুইটা আবেদন করা যাবে না। আগে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করুন, আবেদন অনুমোদন হয়ে গেলে তারপর এনআইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন করুন।
মুছুনআমার হারিয়ে যাওয়া কার্ডটি স্মার্ট কার্ড। স্মার্ট কার্ড পেতে হলে আমার করনীয় কি দয়া করে বলবেন?
উত্তরমুছুনস্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে এখন পর্যন্ত আবেদন করে আরো একটি স্মার্ট কার্ড পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে রিইস্যুর আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তোলার সুযোগ দেয়া হতে পারে। আপাতত রিইস্যুর আবেদন করে পেপার লেমিনেটেড এনআইডি কার্ড তুলে নিয়ে কাজ চালাতে হবে।
মুছুনআমার স্মার্ট কাডটি হারয়ে গেছে আমি কি আবার আবেদন করলে কি আমার স্মার্ট কাডটি পাবো
উত্তরমুছুনএই মুহুর্তে রিইস্যুর আবেদন করে স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে না, পেপার লেমিনেটিং করা এনআইডি কার্ড পাবেন। ভবিষ্যতে আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তোলার সুযোগ দেয়া হতে পারে।
মুছুনঅনলাইন আবেদনে কতদিন পর কার্ড পাওয়া যাবে জানাবেন প্লিজ,, মানে কত সময় লাগে
উত্তরমুছুনঅনলাইনে এনআইডি রিইস্যুর আবেদন করার ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে এনআইডি কার্ড পাওয়া যেতে পারে। তবে কখনো কখনো সময় আরো কম বা বেশি লাগতে পারে।
মুছুনভাই আামার আব্বুর এন আইডি নাম্বার স্লিপ নাম্বার আছে কিভাবে এনআইডি কার্ড বের করব???
উত্তরমুছুনআপনার আব্বু যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকে এবং পূর্বে এনআইডি কার্ড না পেয়ে থাকে তাহলে অনলাইন থেকে তার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবে। পরবর্তীতে স্মার্ট কার্ড আসলে অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে। আর যদি তিনি পুরাতন ভোটার হয়ে থাকে, অর্থাৎ পূর্বে এনআইডি কার্ড পেয়ে থাকে তাহলে উপরোক্ত উপায়ে রিইস্যুর আবেদন করে এনআইডি কার্ড উত্তোলন করে নিতে হবে।
মুছুনঅনলাইনে এনআইডি কার্ড রিইস্যুর আবেদন করার কতদিন পর মোবাইলে ম্যাসেজ আসে? দয়া করে জানাবেন 🙏,কারণ আমার আগের এনআইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা সংশোধন করছি কিন্তু নতুন NID কার্ড নেওয়া হয় নি তাই পুরনো বর্তমান ঠিকানা থাকায় সমস্যা হচ্ছে
উত্তরমুছুনএনআইডি কার্ড রিইস্যুর আবেদন করলে সর্বোচ্চ ৫-৭ দিনের মধ্যেই নতুন Nid Card পাওয়া যায়। কখনো কখনো আরো কম সময়ে আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়।
মুছুনআমার এন আইডি হারায় গেছে আমি ওনলাইনে এমাজেন্সি আবেদন করছি পরে থানায় জিডি করে ওনলাইনে জিডি কপি জমা দিয়ে বিকাস এ টাকা জমা দিসি ১২ দিন হয়ে গছে এখনো আইডি কার্ড পাইনি
উত্তরমুছুনহারানো কার্ড উত্তোলনের আবেদন অনুমোদন হতে এত সময় লাগার কথা না। আপনি অফিসে গিয়ে একটু খোজ করে দেখুন আবেদনে কোন সমস্যা হয়েছে কি না। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে একটু দ্রুত অনুমোদন করে দিতে অনুরোধ করুন।
মুছুনআমার স্মাট কাডের বতমান ঠিকানা সংশোধন করেছি এখন কি । এখন কি স্মাট কাড রিইস্যুর জন্য আবেদন করা লাগবে
উত্তরমুছুনযদি সরকারি ফি জমা দিয়ে সংশোধন করেন তাহলে সংশোধন হওয়ার পর সংশোধিত Nid Card পাওয়ার কথা। আর যদি ভোটার এলাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তণ করে থাকেন তাহলে রিইস্যুর আবেদন করে একটি Nid Card তুলে নিতে হবে। তবে স্মার্ট কার্ড আসবে না পেপার লেমিনেটেড Nid Card আসবে।
মুছুনআমি আমার স্ত্রীর এনআইডি কার্ড আমাদের এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভোটার এলাকা স্থানান্তর করতে চাই, এখন আমার স্ত্রীর এনআইডি কার্ডটি স্মার্ট কার্ড, এলাকা স্থানান্তর করলে স্মার্ট কার্ড পাবো কি না।
উত্তরমুছুনভোটার এলাকা স্থানান্তর করার পর এমনিতে কোন Nid Card আসবে না। রিইস্যুর আবেদন করে Nid Card তুলে নিতে হবে এবং সেটি পেপার লেমিনেটেড Nid Card হবে Smart Card হবে না। আপাতত একজন ব্যক্তির দুইটা স্মার্ট কার্ড পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। হয়তো ভবিষ্যতে আবেদন করে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির সুযোগ থাকবে।
মুছুনআমার কাছে এনআইডির পিডিএফ বা অনলাইন কপিটি আছে। যতবার ইচ্ছা ততবার নামিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারি। এখন আমার একটি প্রিন্টেড কপি হারিয়ে গিয়েছে গত দুইদিন আগে। আমার কি জিডি করে রিইস্যু করতে হবে? নাকি অনলাইন কপি দিয়ে আবার প্রিন্ট করে ব্যবহার করা শুরু করব?
উত্তরমুছুনঅনলাইন কপিটি পুনরায় প্রিন্ট করে নিয়ে কাজে লাগান। রিইস্যুর আবেদন করার দরকার নেই।
মুছুনআমার ১৭ ডিজিটবিশিষ্ট এনআইডি মানিব্যাগসহ ছিনতাইয়ের ফলে জিডি করে অনলাইনে ফি দিয়ে রিইস্যুর আবেদন করি। ১ মাস পর আবেদন গৃহীত হয় মোবাইলে ম্যাসেজ আসে। আমি নতুন আইডি ডাউনলোড করি।রিইস্যুর আবেদন ফরমটি(অনলাইনে ফিল আপ করা) ডাউনলোড করা আছে।
উত্তরমুছুনআমি কিভাবে হার্ড কপি পাবো।
#এটি কি ইউনিয়নে আসবে নাকি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে??
# প্রিন্ট করে ডাউনলোড আইডি কি অরিজিনালের মতো শো করতে পারবো?
#সরকারী চাকরির ভাইভায় মূল আইডি দেখাতে বলা হয় তখন কি আমার প্রিন্ট করাটা কি দেখানো যাবে??
যদি বলা হয় এটা অরিজিনাল না তখন কি করবো?
#আগের ১৭ ডিজিটের নম্বর এখন ডাউনলোড করা আইডিতে দেখি ভিন্ন ১০ ডিজিটের নম্বর এটাকি চাকরির ভাইভায় সমস্যা হবে??
এনআইডি কার্ডের কোন প্রকার সেবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া হয় না। রিইস্যুকৃত এনআইডি কার্ড সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু অনলাইন থেকে ডাউনলোড করেছেন সেহেতু অফিস থেকে কার্ড আনার দরকার হবে না।
মুছুনডাউনলোড করা কার্ডটি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। ডাউনলোড করা কার্ডটিও অরিজিনাল হিসেবে সকল কাজে ব্যবহার করা যাবে। এমনকি চাকরির ভাইভাতেও কার্ডটি দেখাতে পারবেন। যদি বলে কার্ডটি অরিজিনাল না। তাহলে যেটা সত্যি সেটাই বলবেন। বলবেন যে, হারিয়ে গিয়েছিলো আবেদন করে এটা তুলে নিয়েছি। এর উপর যে সকল তথ্য লেখা আছে তা অরিজিনাল।
পূর্বে ১৭ সংখ্যা এবং ১৩ সংখ্যার এনআইডি নম্বর সম্বলিত কার্ড দেয়া হতো। কিন্ত বর্তমানে সকলকে ১০ সংখ্যার স্মার্ট এনআইডি নম্বর সম্বলিত কার্ড দেয়া হয়। তবে ১৩, ১৭ অথবা ১০ যে সংখ্যাই কার্ডের উপর লেখা থুকুক না কেন তার ভ্যালু একই। অথাৎ ১৭ সংখ্যার নম্বর দিয়ে সার্চ করলেও আপনার তথ্য আসবে আবার ১০ সংখ্যার নম্বর দিয়ে সার্চ করলেও আপনার তথ্য আসবে। সুতরাং এনআইডি নম্বর পরিবর্তন হওয়ার কারণে চাকরি পরীক্ষায় কোন সমস্যা হবে না।