ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি জানুন

ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি জানুন

ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়

মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা খুব সহজে হারায় না। তবে নতুন ভোটার হওয়ার পর ভোটার নিবন্ধন স্লিপ অনেকের কাছ থেকে হারিয়ে যায়। ফলে তারা এনআইডি নম্বর পাওয়া কিংবা এনআইডি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। প্রায় প্রতিনিয়নই শুনতে হয় ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে ফেলেছি এখন কি করবো? ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে এনআইডি নম্বর ও কার্ড পাওয়ার উপয় কি? উপায় তো কিছু না কিছু অবশ্যই আছে। তবে তার জন্য বাড়তি একটু ঝামেলা পোহাতে হয়। সেই সব বাড়তি ঝামেলাগুলো কি চলুন জেনে নেই।

নির্দিষ্ট বয়সে ভোটার হওয়া নাগরিকের অধিকার। যাদের জন্ম তারিখ ০১/০১/২০০৭ সাল বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা সবাই ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন। তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তারা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। কিন্ত ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম আসবে না এবং ভোট দিতে পারবে না। বয়স ১৮ বছর হওয়ার পর অটোমেটিক ভোটার তালিকায় নাম চলে যাবে তখন ভোট দেয়া যাবে।

{tocify} Stitle={Custom Title}

ভোটার নিবন্ধন স্লিপ কি?

অনেকেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ভোটার হয়। আবার অনেকে হালনাগাদের সময় ভোটার না হতে পেরে অফিসে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে অফিসিয়ালভাবে ভোটার হয়।

ভোটার হওয়ার সময় আবেদনকারীকে ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ এর নিচের অংশ কেটে দেয়া হয় যাকে প্রাপ্তি স্লিপ বা ভোটার নিবন্ধন স্লিল বলা হয়। এই স্লিপের ডান পাশে ৮/৯ সংখ্যার একটি ইউনিক নম্বর থাকে যেটিকে ফরম নম্বর বলা হয়। কেবলমাত্র ফরম নম্বর/এনআইডি নম্বর/ভোটার নম্বর দিয়েই একজন ভোটারের বিস্তারিত তথ্য দেখা যায়। 

ভোটার নিবন্ধন স্লিপের গুরুত্ব

একজন নতুন Underage Voter এর বিস্তারিত তথ্য দেখার জন্য বা এনআইডি নম্বর পাওয়ার জন্য ফরম নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিবন্ধন স্লিপের নম্বর ছাড়া আর অন্য কোন ভাবে ভোটার তথ্য দেখা যায় না। 

আর দেখা গেলেও সেটা অনেক ঝামেলাপূর্ণ একটা বিষয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই নিবন্ধন স্লিপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্ত অনেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার নিবন্ধন স্লিপটি অসাধানতার কারণে হারিয়ে ফেলে এবং প্রয়োজনের সময় ভোগান্তি হয়।

ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে কয়েকটি উপায়ে ভোটার তথ্য খুজে পাওয়ার উপায় রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো।

প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটারদের ভোটার স্লিপ হারালে

আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটার হন অর্থাৎ পূর্বে ভোট দিয়েছেন কিন্ত এখনো এনআইডি কার্ড পাননি। অথবা যারা ভোট দেননি কিন্ত ভোটার তালিকায় নাম আছে। তাদের ক্ষেত্রে যা করতে হবে তা হচ্ছে, আপনার গ্রাম/মহল্লা/পাড়ার জন্য যে ভোটার তালিকা রয়েছে সেই ভোটার তালিকা দেখতে হবে।

সেখানে আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখসহ ১২ সংখ্যার একটি ভোটার নম্বর পাবেন। সেখান থেকে ভোটার নম্বরটি লিখে নিবেন এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাবেন। অফিস থেকে ভোটার নম্বরের মাধ্যমে আপনার এনআইডি নম্বর বের করতে পারবেন সেই সাথে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভোটার তালিকা কোথায় পাবেন

আপনি আপনার ওয়ার্ডের মেম্বর/মহিলা মেম্বর/কাউন্সিলর/মহিলা কাউন্সিলরের নিকট সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা পেয়ে যাবেন। আর না পেলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা দেখবেন।

তাছাড়া ইতোপূর্বে আমাদের ওয়েবসাইটে ভোটার তালিকা দেখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা হয়েছে। প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।

কম বয়সী ভোটারদের ভোটার স্লিপ হারালে

যারা ১৮ বছরের কম বয়সী, এখনো ভোটার তালিকায় নাম আসেনি, পূর্বে ভোট দেননি, এনআইডি নম্বর জানা নেই এবং এনআইডি কার্ড পাননি। তবে নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে ফেলেছেন। এমন ভোটারদের ক্ষেত্রে এনআইডি নম্বর পাওয়ার বিষয়টা একটু জটিল। কারণ এনআইডি নম্বর পাওয়ার জন্য ফরম নম্বর বা ভোটার নম্বর কোনটাই আপনি সরবরাহ করতে পারছেন না।

সেক্ষেত্রে আপনকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। গিয়ে বলবেন আপনার ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেছে, ফরম নম্বর মনে নেই, আইডি নম্বরও নেই। দয়া করে সার্ভার থেকে এনআইডি নম্বর খুজে বের করে দিন। অফিসের স্টাফগণ এনআইডি'র সার্ভার থেকে আপনার তথ্য খুজে বের করে দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্যগুলো সঠিক করে বলতে হবে তাদের কাছে।

কাজটা অনেকটাই ঝামেলার বিধায় একটু সময় লাগতেই পারে। আপনি যদি আপনার নামের বানান, পিতার নামের বানান, জন্ম তারিখ ইত্যাদি সঠিক করে না দিতে পারেন তাহলে তথ্য খুজে পাওয়া কঠিন হবে। তাই আপনার ক্ষেত্রে যদি এমন হয় তাহলে ভোটার হওয়ার সময় যেসব নাম ব্যবহার করেছিলেন সেগুলো সঠিক করে বলার চেষ্টা করবেন। 

হাতের ছাপ দিয়ে ভোটার তথ্য যাচাই

যদি উপজেলা থেকে তথ্য খুজে না পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তী ভোটার তালিকা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত খুলে বলবেন। তারা আপনার হাতের ছাপ নিয়ে ভোটার তথ্য যাচাই করে দেখবে। আপনার তথ্য যদি সার্ভারে থাকে তাহলে তারা আপনার এনআইডি নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে দেবে সেটি নিয়ে চলে আসবেন। বাকী কাজ উপজেলা থেকে করিয়ে নিতে পারবেন।

ভোটার তথ্য যাচাই না হলে করণীয়

জেলা নির্বাচন অফিস থেকে যদি আপনার ভোটার তথ্য যাচাই করে না পাওয়া যায় তাহলে তারা আপনাকে একটি স্লিপ দেবে। সেখানে লেখা থাকবে কোন প্রকার বায়োমেট্রিক তথ্য পাওয়া যায়নি এবং তাদের সই ও সীল থাকবে। 

আপনার ক্ষেত্রে যদি এমন হয় তাহলে উপজেলাতে ফিরে এসে নতুন করে ভোটার হতে হবে। তবে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেয়া স্লিপটি হারাবেন না। হারিয়ে গেলে পুনরায় অনুরুপ স্লিপ পাওয়ার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুখের কথায় কাজ হবে না।

পরিশেষে

পরিশেষে বলা যায়, ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয় এনআইডি নম্বর পাওয়ার জন্য। এনআইডি নম্বর না পাওয়া পর্যন্ত এনআইডি কার্ড পাওয়া যায় না। সুতরাং নতুন ভোটার হওয়ার পর ভোটার স্লিপটি যত্নেসহকারে সংরক্ষণ করবেন। 

এই ছিলো ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারানোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। এ বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো। লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!

34 মন্তব্যসমূহ

  1. আমার স্লিপ হারিয়ে ফেলেছি এখন কি করব

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি সে বিষয়েই তো বিস্তারিত তথ্য দেয়া হলো। একটু ভালো করে পড়ে দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন কি করতে হবে। ধন্যবাদ..।

      মুছুন
  2. উত্তরগুলি
    1. নিজ এলাকার তালিকায় নাম না খুজে পেলে পাশের এলাকার তালিকা খুজে দেখুন। তাও যদি না পান তাহলে এনআইডি উইং এ গিয়ে হাতের ছাপ দিয়ে আইডেন্টিটি যাচাই করে আসতে হবে। আইডেন্টিটি যাচাই না হলে পুনরায় ভোটার হতে পারবেন। আইডেন্টিটি যাচাই না করে পুনরায় ভোটার হলে ডুপ্লিকেট হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।

      মুছুন
  3. HEY BROTHER/SISTER
    NOW WE CAN CHECK NID WITH DIGITAL BIRTH REGISTRATION NUMBER IN ONE PLACE HERE. PLEASE TELL ME HOW TO DO IT?
    I DON'T REALLY KNOW IT SO I WANT TO LEARN....

    YOU CAN ALSO ANSWER HERE=( imranmdtosher1788@gmail.com)

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. If you want to check NID details with digital birth registration number then you need to go to your nearest Upazila Election Office or NID Wing, Dhaka. There is no way to check NID details from online with birth registration number.

      মুছুন
  4. নাম সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। প্রমাণ সরূপ জন্ম সনদ, পাসপোর্ট কপি এবং ম্যারেজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলাম। উনারা এসএসসির সনদ চেয়েছিলেন, সনদে নাম ভুল আছে, সেটা উল্লেখ করে অনান্য ডকুমেন্টস অনুসারে নাম সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। যেহেতু এনআইডি জরুরি। কিন্তু উনারা আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। আমার এখন কি করনীয়? এসএসসি সনদ ঠিক করতে পারবো না, অনেক টাকা লাগবে। আমি গরিব মানুষ।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এনআইডির সার্ভারে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ দেয়া আছে বিধায় তারা এসএসসি সনদ চেয়েছিলো। যেহেতু আপনি এসএসসি পাশ তাই এসএসসি সনদ না দেয়া পর্যন্ত এনআইডি কার্ডের আবেদন অনুমোদন পাবে না। যদি এনআইডি কার্ডে নাম সংশোধন করতেই চান তাহলে উচিত কাজ হবে আগে এসএসসি সনদ সংশোধন করে নেয়া তারপর এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করা। এর বিকল্প আর কিছু নেই।

      মুছুন
  5. আসসালামু আলাইকুম স্যার। আমার বয়স ১৮ হইছে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আছে। এখন আমার NID টা লাগবে সমস্যা ফরম পুরনের সময়ে যে স্লিপ দিছে তা হারাই গেছে। স্লিপের নাম্বার টা কি আমি ইউনিয়ন পরিষদ অথবা যে ফরম পুরন করে দিছে তার কাছে পাবো???
    অথবা আমরা যারা একই দিনে পুরন করছি একই বাডির তাদের কারো নাম্বার দিয়ে কি সিরিয়াল পাওয়া যাবে?? প্লিজ কষ্ট করে জানাবেন৷

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার ভোটার স্লিপের নম্বর/এনআইডি নম্বর/এনআইডি কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে।

      মুছুন
  6. স্লিপ হারিয়ে গেছে, নির্বাচন অফিসে গিয়ে বললে বলে টাকা লাগবে। সে ক্ষেত্রে আমার করনীয়...

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. টাকা দিয়ে কাজ করানোর ইচ্ছা থাকলে করাবেন আর যদি টাকা না দিতে চান তাহলে বড় আফিসারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করবেন।

      মুছুন
  7. আসসালামু আলাইকুম আমার বড় ভাইয়ের স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেছে আজ থেকে ১০বছর আগে চট্রগ্রাম ই সে ওখানে থাকতো ওখান কার সব ঠিকানা ছিল বর্তমানে সে তার নিজ এলাকায় থাকে ফেনী।তার কাছে ভোটার স্লিপ টা আছে ভোটার নং লিখা আছে ওখানে,এমতাবস্থায় তার কি করণীয়?সে কিভাবে তার স্মার্ট কার্ড ফিরে পাবে?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ভোটার নম্বরটি নিয়ে নিকটস্থ কোন নির্বাচন অফিসে গেলে তারা এনআইডি নম্বর বের করে দেবে। তিনি যদি চট্টগ্রামের ভোটার হন তাহলে এনআইডি নম্বর পাওয়ার পর ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন করে নিজ এলাকায় নিয়ে আসা উচিত। তা না হলে এনআইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন করার পর চট্টগ্রামে গিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। ভোটার এলাকা স্থানান্তরের পর যদি তিনি কার্ড উত্তোলনে আবেদন করেন তাহলে নিজ এলাকার নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। তবে স্মার্ট কার্ড আসবে না, পেপার লেমিনেটেড কার্ড আসবে। পরবর্তীতে আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তোলার সুযোগ দিলে তখন আবেদন করে স্মার্ট কার্ড তুলে নিতে হবে।

      মুছুন
  8. আসসালামু আলাইকুম আমি যে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার স্লিপ পেয়েছিলাম সেটা আর স্লিপটা হাড়িয়ে ফেলেছি এখন স্লিপ নম্বরটা আমি রেখে দিয়ে ছিলাম কিন্তু আমার জন্মসাল টা ভুল তাহলে কি ভাবে আমি আমার আইডি কার্ড টা হাতে পেতে পারি

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. স্লিপ নম্বর টি নিয়ে নির্বাচন অফিসে গেলে তারা এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ বের করে দিতে পারবে। আর যদি এনআইডি কার্ড এসে থাকে তাহলে কার্ডও সংগ্রহ করতে পারবেন।

      মুছুন
  9. উপজেলাতে তো অনেক টাকা দাবি করে খাতা দেখানোর জন‍্য।টাকা ছাড়া কোনো কথাই বলে না

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ঘুষখোরদের কাজই তো টাকা দাবি করা। সরকারি ফি ছাড়া বেশি টাকা দেবেন না। তারা যদি টাকা ছাড়া কাজ করে না দেয় তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করুন।

      মুছুন
  10. আমার স্লিপটি হারিয়ে গেছে ফোনের সাহায্যে বের করা কি সম্ভব?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ফোনের মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে না। আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে তথ্য বের করে নিন।

      মুছুন
  11. ভোটার স্লিপ হারিয়ে গিয়েছে এনআইডি কার্ড নির্বাচন অফিস থেকে আনতে হলে ,ব্যাংকে ড্রাইভ করে টাকা দিতে হবে কি, যদি দিতে হয় কত টাকা দিতে হয় জানাবেন

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারানো ভোটারদের এনআইডি কার্ড নিতে হলে ফি জমা দিতে হবে কি না, হলে কত টাকা ফি জমা দেয়া লাগবে এ বিষয়ে অফিস থেকে পরামর্শ নেয়া ভালো। এ বিষয়ে আমার পরামর্শ কার্যকরী নাও হতে পারে।

      মুছুন
  12. অনলাইন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করছি। পরে আমার ভোটার স্লিপটি হারিয়েছে। এখন কি অনলাইন এনআইডি দিয়ে মূল স্মাট কার্ডটি তুলতে পারব?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. হ্যা পারবেন। স্মার্ট কার্ড তোলার সময় অনলাইন থেকে যে সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন সেটি জমা দিলেই হবে।

      মুছুন
  13. আসসালামু আলাইকুম,,আমার nid, সকল সার্টিফিকেট ও জন্ম সনদে মায়ের নাম শিরিন আক্তার দেওয়া কিন্তু মায়ের জন্ম সনদ ও nid তে শিরিন বেগম দেওয়া, এমতাবস্থায় আমার কি করনীয়? মায়ের nid অনুযায়ী সব ঠিক করতে গেলে অনেক ঝামেলা, যদি ঠিক না করি তাহলে কি পরে কোন ঝামেলা হবে? আমার ছোট ভাইয়ের সার্টিফিকেট এ আবার মায়ের নাম শিরিন বেগম ই দেয়া,,এখন পরবর্তীতে কি আমার চাকরি বা অন্য কোন ক্ষেত্রে ঝামেলা হবে? আমার সার্টিফিকেট nid, জন্ম সনদ সব এক কিন্তু মায়ের nid এর সাথে মিল নেই

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. দেশ ডিজিটাল হচ্ছে এবং আরো হবে। পিতা মাতার এনআইডি কার্ডের সাথে আপনার সার্টিফিকেট এনআইডি মিল না থাকলে ভবিষ্যতে ঝামেলা হতেই পারে। এ বিষয়ে এখনি সঠিক করে কিছু বলা সম্ভব না।

      এখন আপনি চাইলে মায়ের Nid Card সংশোধন করে আপনার সার্টিফিকেট অনুযায়ী করে নিতে পারবেন। তবে আপনার ছোট ভাইয়ের কাগজপত্রের সাথে আবার ঝামেলা হয়ে যাবে। তাই ঝামেলা হলেও ভবিষ্যতের চিন্তা করে নিজের সার্টিফিকেটগুলো সংশোধন করে নেয়ায় উত্তম কাজ হবে। সার্টিফিকেট সংশোধন হয়ে গেলে তখন সহজেই আপনার Nid Card থেকে মায়ের নাম সংশোধন করে নিতে পারবেন।

      মুছুন
  14. আমি মোবাইলে NID কার্ড চেক করবো বলে লগইন করেছিলাম কিন্তু ভুলে নতুন ভোটার তালিকায় আবেদন হয়ে গেছে।
    এখন আমার করণীয় কি?
    আমি কিভাবে আবেদনটি বাতিল করতে পারি?
    আমি ইতিপূর্বে ভোটার আছি,
    এই আবেদনটি বাতিল না করলে কি কোন সমস্যা হবে?
    দয়াকরে সঠিক পরামর্শটি জানাবেন।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. সাবমিট করা আবেদনটি বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা যেতে পারে। আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি আপনার নতুন ভোটারের আবেদনটি বাতিল করে দেবেন। আর যদি ভাবেন আবেদন হয়ে গেছে যাক, আমি আর ওই আবেদন বাতিল করার জন্য আবেদন করবো না। তাহলে সেটিও করতে পারেন, আবেদন সাবমিট করলেই যে নতুন ভোটার হয়ে যাবেন তা ঠিক না। কাগজপত্রসহ অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক না দেয়া পর্যন্ত নতুন ভোটার হয় না। সুতরাং, আপনি আবেদনটি বাতিল করার জন্য কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে পারেন অথবা ওভাবেই রেখে দিতে পারেন। এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না।

      মুছুন
  15. আমার পিতার নাম তার আইডি কার্ডে দেওয়া আছে শহীদুল হক। কিন্তু আমার আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেটে দেওয়া আছে আ: সহিদ আকন। এখন আমার পিতার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন কিভাবে করব? নতুন কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে কি?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার পিতার এনআইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করলে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আবেদন পেন্ডিং থাকতে পারে এবং সাথে ভোগান্তি ফ্রি। কারণ উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে চাহিত নাম প্রমাণ না করাতে পারলে Nid Card সংশোধন হয় না। আমাদের ওয়েবসাইটে এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা হয়েছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।

      আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ এটাই যে, পিতার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন না করে তার আইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী আপনার সার্টিফিকেটগুলো সংশোধন করে নিন। তাহলে সকল সমস্যার সমাধান হবে। আর যদি পিতার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন হয়েও যায় তাহলে আপনার অন্যান্য ভাই বোনের আইডি কার্ডের সাথে গড়মিল হয়ে যাবে এবং পিতার নামীয় জমি জমা/চাকরি/পেনশনের কাগজপত্রের সাথেও গড়মিল হবে। তখন আরো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

      মুছুন
  16. Vai ami 2007 sale ভোটার hoyecilam.. Kintu ami amar card ta tuli nai.. Akhon Kono babe ki ami amar card ta tulte parbo? Amar documents sob ace.. Please janan

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ২০০৭ সালের ভোটারদের তো স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। যদি আপনার কাছে এনআইডি নম্বর ও সঠিক জন্ম তারিখ থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক করে দেখুন আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরী হয়েছে কি না। যদি তৈরী হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন।

      আর যদি স্মার্ট কার্ড তৈরী না হয়ে থাকে তাহলে অনলাইনে Nid রিইস্যু আবেদন করে পেপার লেমিনেটেড এনআইডি কার্ড তুলে কাজ করুন।

      যদি আপনার কাছে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ না থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকা চেক করুন। সেখান থেকে ভোটার নম্বর সংগ্রহ করে নির্বাচন অফিসে নিয়ে গেলে তারা এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ বের করে দেবে এবং স্মার্ট কার্ড এসেছে কি না সেটাও চেক করে দেবে।

      মুছুন
  17. আসসালামুয়ালাইকুম।ভাই আমি ২০১৮ সালে ভোটার হয়েছিলাম।পরে তুফানে ঘর ভেঙে গেলে অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে যায় সাথে সাথে আমার আইডি কার্ডের স্লীপ টি ও হারিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেছি। প্রথমে ইউনিয়ন সচিবের কাছে গিয়েছি উনি বলতেছেন তিন হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে উনি চেষ্টা করবে।পরে অসহায় হয়ে ফিরে আসি টাকা না থাকার কারণে।পরে ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে গিয়েছি তিনি বলেন টাকা না হলে কোন কাজ হবে না। উপজেলা তে গিয়েছি উনারা বলতেছেন অনেক সময় লাগবে দুই হাজার টাকা খরচ হবে। স্লীপ ও নেই তখন নামের বানান কিভাবে লিখছে সেটা ও মনে নেই। আমাকে একটু পরামর্শ দিবেন দয়া করে।আইডি কার্ডের জন্য কোন জায়গায় চাকরীর আবেদন ও করতে পারছি না

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনি যে সমস্যায় পড়েছেন সেই বিষয়েই এই পোষ্টে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি। পোষ্টটি ভালো করে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন কোথায় গেলে কোন খরচ ছাড়াই এনআইডি আইডি নম্বর এনআইডি কার্ড পাবেন।

      তারপরও বলছি আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনার গ্রাম/মহল্লার ভোটার তালিকা দেখুন সেখানে আপনার নাম ঠিকানাসহ ভোটার নম্বর পাবেন। সেই ভোটার নম্বরটি লিখে নিন এবং অফিস স্টাফদের বলুন আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে দিতে। সেই সাথে আরো জিজ্ঞাসা করবেন আইডি কার্ড এসেছে কি না। যদি কার্ড আসে তাহলে অফিস থেকে সংগ্রহ করুন। কার্ড না আসলে আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইন থেকে কার্ড ডাউনলোড করে নিন।

      মুছুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন