একাধিকবার ভোটার হলে করণীয় কি? যারা ভুল করে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন তাদের জন্য পরামর্শ
অনেকেই আছেন যারা না জেনে বা ভুল করে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। একাধিকবার ভোটার হলে করণীয় কি সে বিষয়ে কি কোন ধারণা আছে আপনাদের? যদি আপনার দ্বৈত ভোটারের বিষয়ে ধারণা থাকে তাহলে খুবই ভালো। আর যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই বিস্তারিত পড়ে নেয়ার অনুরোধ করবো। কারণ আমি চাই না আপনারা দ্বৈত ভোটারের ঝামেলায় পড়ে থাকেন।
ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তি প্রতিটি নাগারিকের মৌলিক অধিকার। একজন ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হলে সে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তবে একাধিবার ভোটার হলে তার পরিনাম অনেক ভয়াবহ হতে পারে। ২০১৫ সাল থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদেরকে ভোটার করার পাশাপাশি ১৮ বছরের কম বয়স্ক ছেলে-মেয়েদেরকে Underage Voter হিসেবে নিবন্ধন করা শুরু হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার লক্ষ্যে। Underage ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় আসে না এবং ভোট দিতে পারে না। তারা যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায় তখন আপনা আপনিই তাদের নাম ভোটার তালিকায় চলে আসে এবং তারা ভোট দিতে পারে। কিন্ত এই বিষয়টাই অনেকে জানে না বা বোঝে না। ফলে পুনরায় আবার ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তোলে এবং একাধিকবার ভোটার হওয়ার ঝমেলায় জড়িয়ে পড়ে।
যেসব কারণে একজন ব্যক্তি একাধিকবার ভোটার হয়
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেয়ার জন্য Underage ভোটারদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে। কিছু লোকজন আছে তারা ইতোপূর্বে Underage Voter হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিলো। তারা তখন জানতো যে, তাদের বয়স ১৮ বছর হয়নি তাই তারা ভোটার না, শুধু জাতীয় পরিচপত্র দেয়ার জন্য তাদের ছবি তোলা হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের বয়স যখন ১৮ বছর হয় তখন তারা আবার ২ নং নিবন্ধন ফরম পূরণ করে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তোলে। ফলে কমিশনের সার্ভারে Duplicate Voter হিসেবে ধরা পড়ে।
এমন অনেক মেয়ে আছে যারা বিয়ের আগে Underage Voter হয়। এনআইডি কার্ড হাতে পাওয়ার আগেই হয়তো অনেকের বিয়ে হয়ে যায় এবং তারা শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। সাংসারিক কাজের চাপে অনেকেই ভুলে যায় যে সে বাবার বাড়িতে থাকার সময় ভোটার হয়েছিলো। এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন অনুভব করা মাত্র (গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্তি) শ্বশুর বাড়ির ঠিকানায় পুনরায় একবার ভোটার হওয়ার জন্য অফিসে কাগজপত্র দাখিল করে ভোটার হয় বা হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার হয়। কিছুদিন পরে এনআইডি নম্বর সংগ্রহের জন্য অফিস গেলে ধরা পড়ে সে দ্বৈত ভোটার বা একাধিকবার ভোটার হয়েছে।
অনেকেই লেখাপড়া বা চাকরি করার কারণে নিজ বাড়ি থেকে শত শত মাইল দুরে গিয়ে বসবাস করে থাকে। নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলে অনেকেই অস্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হয়। এনআইডি কার্ড হাতে পাওয়ার আগেই দেখা যায় ঠিকানা পরিবর্তণ করে অন্য কোন জায়গায় চলে যেতে হয়েছে বা স্থায়ী ঠিকানায় ফিরে এসেছে বা ভোটার নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে ফেলেছে। এভাবে ২-৩ বছর পার করে ফেলে। যখন এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে তখন সে যে ঠিকানায় ভোটার হয়েছিলো সেখানে গিয়ে ঘোরাঘুরি করে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করা অনেকটাই ঝামেলা মনে করে বিধায় স্থায়ী ঠিকানায় পুনরায় ভোটার হয়।
অনেকেই আছে যাদের চাকরির বয়স চলে গেছে। পরবর্তীতে বয়স কম দিয়ে ভোটার হয়ে চাকরির সুযোগ নেয়ার জন্য পুনরায় ভোটার হয়।
এছাড়া এমন অসংখ্য মানুষ আছে যারা না জেনে বা না বুঝে বা ভুল করে বা স্বার্থের বসবর্তী হয়ে একাধিকবার ভোটার হয়ে থাকে। কিন্ত তারা জানে না যে ভোটার করার সময় আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয় এবং এই ছাপের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কত বার ভোটার হয়েছে তা সয়ংক্রিয়ভাবে ধরা পড়ে যায়। পূর্বে ভোটার করার সময় মাত্র ৪ আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হত। বর্তমান সময় ভোটার করার সময় ১০ আঙ্গুলেরই ছাপ নেয়া হয় এবং চোখের আইরিশ স্ক্যান করে মেইন সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখ হয়। আপনি যতই চালাকি করেন না কেন একাধিকবার ভোটার হতে গেলে অবশ্যই ধরা খেতে হবে।
ভুলবসত যারা একাধিকবার ভোটার হয়েই পড়েছেন তাদের জন্য করণীয়
একাধিকবার ভোটার হলে প্রথমবারের ভোটার তথ্য বহাল থাকে পরবর্তীতে হওয়া ভোটার তথ্য অটোমেটিক ডিলিট হয়ে যায়। যতবার ভোটার হবেন ততবার ডিলিট হয়ে যাবে। তাদের ভোটার স্ট্যাটাস থাকে Duplicate Voter বা Deleted Voter হিসাবে। এই ভোটার তথ্য দিয়ে কোন কাজ করা যায় না এবং এনআইডি কার্ড আসে না। তবে কমিশনের সার্ভারে যাবতীয় তথ্যই থেকে যায় রেকর্ড হিসেবে।
আবার দেখা যায় একজন ব্যক্তি দুই বার ভোটার হয়েছে তার দুইটাই বহাল আছে এবং দুইটা এনআইডি কার্ড পেয়েছে। এমন ব্যক্তিদের উচিত প্রথমবারের ভোটার তথ্য বহাল রাখার জন্য এবং দ্বিতীয় বারে ভোটার তথ্য বাতিল করার জন্য নিজে থেকে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করা। আপনি যদি আপনার নিজের ভুল নিজেই সামনে নিয়ে আসেন সেক্ষেত্রে কমিশন আপনার বিরুদ্ধে তেমন কোন নেতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না বরং দ্বিতীয়বারের ভোটার তথ্য বাতিল করে দেবে। অন্যথা কমিশন যখন জানতে পারবে একটা ব্যক্তি ২ বার ভোটার এবং দুইটা ভোটার তথ্যই বহাল আছে তখন মামলা নিশ্চিত ধরে রাখতে পারেন।
অনেকে আছেন যারা একাধিকবার ভোটার হয়েছেন এবং দুইটা ভোটার তথ্যই ডিলিট হয়ে গেছে। তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে একটা ভোটার তথ্য বহাল রাখার জন্য আবেদন করবেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপনার আবেদন হেড অফিসে প্রেরণ করবেন। যদি একটি ভোটার তথ্য ঠিক হয় সেটি হেড অফিস থেকে হবে। উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে হট্টোগোল করবেন না। ডিলেটেড ভোটার রোল ব্যাক করার কাজ উপজেলা পর্যায় থেকে হয় না, করা যায় না। সুতরাং সেখানে সময় অপচয় করে লাভ নেই। যদি পারেন ঢাকা হেড অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করবেন।
যারা একাধিকবার ভোটার হয়েছেন এবং প্রথমবারের তথ্য বহাল আছে পরে হওয়া ভোটার তথ্য ডিলিট হয়ে গেছে। তারা আপাতত নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। তবে কখনোই তৃতীয়বার ভোটার হওয়ার জন্য চিন্তাও করবেন না, করলে আপনার নামে মামলা হওয়ার সম্ভবনা ৯৯%।
একটা বিষয় মনে রাখবেন এবং অপরকে বুঝিয়ে বললবেন, একাধিবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আর এই অপরাধের কারণে জেল খাটা লাগতে পারে সাথে জরিমানা দেয়া লাগতে পারে। আপনার ভোটার তথ্যে বা ভোটার আইডি কার্ডে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করবেন তারা আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবেন।
একাধিকবার ভোটার হওয়ার বিষয়ে নিজে সতর্ক হোন অপরকে সতর্ক করার জন্য পোষ্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।
আমার কার্ড না পাওয়াতে আমি দুবার ভোটার হইছি, এখন নাকি আমার দোটো কার্ড আসছে, এখন কি অনলাইনে একটি বাদ করার কোন সিস্টেম আছে?
উত্তরমুছুনদু যায়গায় বয়স ভিন্ন ৯৩ আর ৯৮ বাবার নাম মা স্থায়ী ঠিকানা, নিজের নাম সব ঠিক আছে।
প্রথম বারের ভোটার তথ্য বহাল রাখা এবং দ্বিতীয় বারে হওয়া ভোটার তথ্য বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন।
মুছুন২য় বার ভোটার তথ্য বাতিল হয়েছে কিনা কিভাবে জানব?
মুছুনসংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে চেক করে দেখতে পারেন।
মুছুনআমার এন আই ডি ঢাকাতে আমি এখন ঢাকার বাহিরে এক জেলায় ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাই , সে ক্ষেত্রে আমার এন আই ডি এর ঠিকানা পরিবর্তন করতে হবে ?? বা যদি না করি তাহলে কি কোন ঝামেলা আছে কিনা ?? অথবা আগের আইডির কোন পরিবর্তন না করে কি ভোটার এলাকা বদলানো যাবে ??
উত্তরমুছুনভোটার এলাকা পরিবর্তণের আবেদন করলে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তণ করা লাগে না। ভোটার এলাকা পরিবর্তন হওযার পর রিইস্যুর আবেদন করে একটি নতুন এনআইডি কার্ড উত্তোলন করে নেবেন তাহলেই হবে। রিইস্যুর আবেদন করলে সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে একটি নতুন এনআইডি কার্ড পাওয়া যায় এবং সেই কার্ডের পেছনে ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে নতুন ঠিকানা লেখা থাকে।
মুছুনউপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবাদন করতে হবে এই রকম কোন আইন থাকলে তার ধারাসহ জানতে চেয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা... আমাকে জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তরমুছুনভোটার সংক্রান্ত কোন সমস্যা থাকলে জনগণ তো প্রথমিকভাবে উপজেলা পর্যায়েই আবেদন করবে। তাছাড়া কোন ধারা সম্পর্কে আমার ভালো জানা নেই। এটা কর্মকর্তাগণই ভালো বলতে পারবেন। আপননি আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রদত্ত পরমর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
মুছুনআমি এইরকম একটা সমস্যা নিয়ে দিনাজপুর ফুলবাড়ি উপজেলায় গিয়েছিলাম। তারা ঢাকা যেতে বলে। ঢাকা গেলে তারা আবার উপজেলায় গিয়ে আবেদন করতে বলে। আমি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করি কিন্তু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমার আবেদন ফরওয়ার্ড করেন নি এবং বলেন এই সংশ্লিষ্ট কোন আইন বা নির্দেশনা নাই.. থাকলে তাকে জানালে তবে তিনি আবেদন নিবেন... এখন আপনি আমাকে এই সংশ্লিষ্ট আইন এর ধারা জানালে উপকৃত হবো।
উত্তরমুছুনকোন নির্দেশন নেই তাদের কাছে ভালো কথা। কিন্ত আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি কি পরামর্শ দিলেন? মাঠপর্যায়ের জনগণ তো আর সরাসরি ঢাকা হেড অফিসে গিয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করে আসতে পারবে না। তাছাড়া এমন কোন নির্দেশন যদি নাই থাকবে তাহলে ঢাকা থেকেই বা কেন আপনাকে উপজেলা পর্যায়ে আবাদেন করতে বললো? উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে যদি সঠিক কোন পরামর্শ না পান তাহলে জেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে সরাসরি কথা বলুন। দেখন তিনি কি পরামর্শ দেন।
মুছুনফরওয়ার্ড করছে কিনা সেটা আমি কিভাবে বুঝবো?
উত্তরমুছুনঅফিসে গিয়ে খোজ নিতে হবে।
মুছুনআমি দুই যায়গায় ভোটার হয়েছি,কিন্তু দ্বিতীয় বারের ভোটার কার্ড পাচ্ছিনা,আমি চাচ্ছি আগেরটা বাদ দিয়ে দ্বিতীয় বারেরটা রাখতে এর জন্য কি করনীয়?
উত্তরমুছুনদ্বিতীয়বারের ভোটার তথ্য বহালা রাখা যাবে না, এটা নিয়ম বহির্ভুত। প্রথমবারের ভোটার তথ্যই বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে আপনার তেমন কিছুই করণীয় নেই।
মুছুনআমি ২০১৯ সালে ভোটার হয়েছি। আমি আগে nid server এ গিয়ে log in করতে পারতাম তবে ইদানিং সময়ে দেখতেছি যে আমি nid server এ ঢুকতে পারতেছি না যখন ঢোকার চেষ্টা করতেছি তখন লেখা আসতেছে যে আপনার সেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।আমি এক্ষেত্রে কি করতে পারি?
উত্তরমুছুননতুন করে রেজিস্ট্রার করার চেষ্টা করুন।
মুছুনআমারও সেম সমস্যা
মুছুনভাই ভোটার হয়েছি ২০১৭ সালে এখনো কার্ড পাইনি উপজেলাতে গেলে বলে match found হইছে নাকি,অনলাইনেও নাই এটা এখন কি করবো, আমি কি আবার ভোটার হতে পারবো
উত্তরমুছুনআপনি যদি একাধিকবার ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে Match Found হওয়াটা স্বাভাবিক। যদি একাধিকবার ভোটার না হয়ে থাকেন তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করবেন। উপজেলা অফিসার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপনার আবেদন হেড অফিসে প্রেরণ করে দেবেন। Match Found এর সমস্যা সমাধানে এটিই একমাত্র উপায়।
মুছুনmatch found application korar por solve hote koto din somoy lage janaben....
উত্তরমুছুনম্যাচ ফাউন্ড হলে আবেদন করে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। মাঝে মাঝে অফিসে গিয়ে আপনার ভোটার স্ট্যাটাস চেক করে আসবেন। তাছাড়া সঠিকভাবে বলা যায় না কত দিনে ম্যাচ ফাউন্ড সমস্যার সমাধান হবে।
মুছুনআমার এন আইডি কার্ড match found হয়েছিলো তো আমি আগারগাঁও অফিসে ১৫ ডিসেম্বার ২০২১ দরখাস্ত করি এখন কতোদিন লাগবে এটা সমাধান হতে অনুগ্রহ করে জানাবেন।
উত্তরমুছুনম্যাচ ফাউন্ড হলে আবেদন করে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। মাঝে মাঝে অফিসে গিয়ে আপনার ভোটার স্ট্যাটাস চেক করে আসবেন। তাছাড়া সঠিকভাবে বলা যায় না কত দিনে ম্যাচ ফাউন্ড সমস্যার সমাধান হবে।
মুছুনভাইয়া ম্যাচ ফাউন্ড কিভাবে আবেদন করছেন যদি বলতেন উপকার হত। আমার কার্ডেও একই সমস্যা।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম ওয়া।
উত্তরমুছুনআমি ১মবার ভোটার হয়েছি কিন্তু আমি জানি না ২য় বার ভোটার হওয়ার পর ভোট দিতে গিয়ে দেখি আমার আরেক ভোটার হয়েছি।আমার মনে পরে অনেক আগে আমাদের পাশের বাড়ি চেয়ারম্যান দাড়িয়ে ছিল তখন তার স্ত্রী আমার ইস্কুলের টীচার ছিল ঔ সময় ছবি তুলে ছিল। যা আমার কলেজ ভার্সিটির সাটিফিকেট সাথে মিল নাই।এখন আমি আগের টা বাতিল করবো এখন করনিও কি। জানতে চাই?
প্রথমবারের ভোটার তথ্য বাতিল করা যায় না। প্রথম বার ভোটার হওয়ার পরে যতবারই ভোটার হবেন সেগুলো বাতিল বা ডিলিট করা যায় আবেদন করে। আপনার যদি দুইটা ভোটার তথ্যই বহাল থাকে তাহলে নিজ গরজে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর আবেদন করে একটি ভোটার তথ্য বাতিল করিয়ে নিন। তা না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরণের বিপদে পড়তে পারেন। যদি প্রথম বারের ভোটার তথ্য বাতিল না করে দেয় তাহলে সার্টিফিকেট অনুযায়ী আইডি কার্ড সংশোধন করে নিবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে প্রায় সকল তথ্যই এখান থেকে জানতে পারবেন প্রয়োজনে জেনে নিতে পারেন।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম,, অনুগ্রহ করে বিস্তারিত মতামত দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে আমার নাম জন্মতারিখ ও সালের ভুল রয়েছে, যেমন ভোটার কার্ডে আমার জন্ম সাল দেওয়া আছে 1988 সাল, কিন্তু আমার জন্ম এসএসসির সার্টিফিকেট অনুযায়ী 1997 সাল, এখন কথা হল আমার এই জন্মসাল পরিবর্তন করতে গিয়ে আমি আমার নিকটস্থ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি সেখান থেকে আমাকে অনলাইনে আবেদন করে ভোটার কার্ড সংশোধন করে নিতে বলেছে, অনলাইনে ফোন করলে হেল্পলাইনে নতুন কমিশনের কাস্টমার ম্যানেজার আমাকে বলেছে যে ভোটার কার্ডের জন্ম সাল, জন্ম তারিখ এগুলো পরিবর্তন করতে হলে জেনারেল থেকে পাস করা এসএসসি সার্টিফিকেট এর তথ্য লাগবে, কিন্তু আমি ভোকেশনাল তথা কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করা এসএসসি সার্টিফিকেটের তথ্য দিতে চাই, যেহেতু আমি ভোকেশনাল কারিগরি থেকেই পাস করেছি, লাইন এর তথ্য অনুযায়ী তারা আমাকে যেটা বলল যে ভোকেশনাল কারিগরি উন্মুক্ত এগুলোর কোন সার্টিফিকেট এর তথ্য দিয়ে ভোটার কার্ডের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি আমাকে জানালে আমি খুবই উপকৃত হতাম ।
উত্তরমুছুনএনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করার অধিকার সবারই আছে। কিন্ত আবেদন করলেই যে সেটা সংশোধন হবে বা অনুমোদন হবে সেটিও ঠিক না। উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে প্রমান করাতে পারলে অবশ্যই এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন হয়। এখন আপনি বলতে পারেন আমার তো ভোকেশনাল শাখার এসএসসি সনদ আছে, জন্ম সনদ আছে এগুলো কি পর্যাপ্ত নয়? উত্তর এগুলো পর্যাপ্ত নয়। ভোকেশনাল শাখার এসএসসি সনদ দিয়ে ৯ বছর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা প্রায় একেবারেই অসম্ভব। আপনার সকল ভাই বোনের এনআইডি কার্ডের কপিতে উল্লেখিত জন্ম তারিখের দিকে তাকালেই প্রমাণ হয়ে যাবে আপনার প্রকৃত জন্ম সাল ১৯৯৭ না, বিধায় আপনার আবেদন অনুমোদন পাবে না। ভাই মন গড়া কথা বলে তো লাভ নেই, যেটা সত্যি সেটা তো মানতেই হবে। এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন এবং এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধন সম্পর্কে আমি বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করেছি। আপনি প্রয়োজনে বিস্তারিত পড়ে নিতে পারেন এবং উল্লেখিত কাগজপত্র দিয়ে আবেদন অবশ্যই করে দেখবেন।
মুছুনবিয়ে হয় নাই, কিন্ত আইডি কার্ডে স্বামী/স্ত্রীর নাম থাকলে কি করনীয়
উত্তরমুছুনবিয়ে হয়নি তাহলে এনআইডি কার্ডের তথ্যে স্বামী/স্ত্রীর নাম ঢুকলো কি করে? যদি ভোটার নিবন্ধন ফরমে স্বামী/স্ত্রীর নাম লেখা থাকে তাহলে তো নিশ্চিত বিপদে পড়বেন, আর যদি না লেখা থাকে তাহলে হয়তো রেহাই পাবেন। যাইহোক, এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে হবে, এলাকার চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিকট থেকে আপনার বিয়ে হয়নি সেই মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আবেদনের সাথে জমা দেবেন। আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে দেখা করবেন, তাকে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন। তবে তিনি তখনই বুঝবেন যখন দেখবেন আপনার ভোটার নিবন্ধন ফরমে স্বামী/স্ত্রীর নাম উল্লেখ নেই। আর যদি উল্লেখ থাকে তাহলে তো কেস অন্যদিকে গড়াবে। এনআইডি কার্ডে স্বামী/স্ত্রীর নাম সংশোধন সম্পর্কে আমাদের ব্লগে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা আছে, প্রয়োজনে জেনে নিতে পারেন।
মুছুননির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে আমার ভোটার তথ্য ডিলিট করতে পারব কি?
উত্তরমুছুননা, সার্ভার থেকে ভোটার তথ্য ডিলিট করা যায় না।
মুছুনআমি দুইবার দুই জায়গা থেকে অনলাইন ফরম পূরণ করেছি।তবে এখনো কোথাও কাগজপত্র জমা দেয়নি।একেত্রে আমি কি করবো?আর কোনো সমস্যায় পরবো কিনা জানাবেন
উত্তরমুছুনদুই জায়গায় ভোটার হওয়া আর নতুন ভোটার হওয়ার জন্য দুই জায়গায় আবেদন করা দুটো আলাদা বিষয়। দুই জায়গায় আবেদন করলে কোন সমস্যা নেই, যে কোন একটি আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হলেই হবে।
মুছুনআমি দুই জায়গায় ভোটার হয়েছি কিন্তু আগেরটা স্লিপ হারিয়ে গেছে যার ফলে কিছুই পায়নি এবং ২য় বার আবেদন করি এবং স্লিপ পাই।এবং যখন এন আইডি কার্ড তখন আমি পায়নি। কিন্তু এন আইডি নাম্বার পেয়েছিলাম এবং এটা দিয়ে সিম তুলেছি কিন্তু এখন আর কিছু করতে পারছি না প্লিজ হেল্প
উত্তরমুছুনআপনি প্রথমবার যে গ্রাম বা এলাকার নাম উল্লেখ করে ভোটার হয়েছিলেন সেই গ্রাম/এলাকার ভোটার তালিকায় দেখুন আপনার নাম এবং ভোটার নম্বর আছে। ভোটার নম্বরটি নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করুন তাহলে তারা আপনার এনআইডি কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। দ্বিতীয়বারের এনআইডি নম্বর দিয়ে হয়তো আর কোন কাজ হবে না এবং কখনো এনআইডি কার্ডও আসবে না।
মুছুনআমার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে, আমার আইডি কার্ডের কোন ডকুমেন্ট আমার কাছে নেই, তাই আমি স্মার্ট কার্ড পায়নি। এখন আমি স্থান পরিবর্ত করেছি, এখন আমি নতুন জায়গায় নতুন করে আইডি কার্ড করতে পারব কি। এতে কোন রকম সমস্যায় হবে কি , plz জানালে উপকৃত হব
উত্তরমুছুননতুন জায়গায় নতুন করে ভোটার আইডি কার্ড বানানো যাবে না। আপনার তো এনআইডি কার্ড ছিলো, যদি আপনার কাছে এনআইডি কার্ডের নম্বর বা কোন তথ্যই না থাকে তাহলে আপনি পূর্বে যেখানে ভোটার ছিলেন অর্থাৎ যে উপজেলার এবং যে গ্রাম বা এলাকায় বসবাস করতেন সেই এলাকার ভোটার তালিকা থেকে আপনার ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। ভোটার নম্বর পাওয়ার পর বর্তমানে আপনি যেখানে বসবাস করছেন সেই এলাকার নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন করতে হবে। ভোটার এলাকা স্থানান্তর হয়ে গেলে তারপর এনআইডি কার্ড উত্তোলন বা এনআইডি রিইস্যুর আবেদন করতে হবে। তাহলেই এনআইডি কার্ড হাতে পাবেন।
মুছুনআসসালামুয়ালাইকুম আমি দুই জায়গায় ভোটের হয়েছি এবং কোন জায়গার আইডি কার্ড পাইনি আমি তাহলে প্রথম আইডি কার্ড পেতে পারি আমাকে একটু জানাবেন
উত্তরমুছুনযদি এনআইডি কার্ডের কোন তথ্যই না থাকে আপনার কাছে তাহলে ঢাকা হেড অফিসে (এনআইডি উইং) গিয়ে হাতের ছাপ দিয়ে নিজের আইডেন্টিটি যাচাই করে আসতে হবে। যদি সার্ভারে আপনার ভোটার তথ্য থাকে তাহলে সেখান থেকে এনআইডি নম্বর দিয়ে দেবে। তারপর আবেদন করে এনআইডি কার্ড তুলে নিতে পারবেন। আর যদি কোন তথ্য না পাওয়া যায় তাহলে উপজেলায় ফিরে নতুন করে ভোটার হতে পারবেন।
মুছুনআমি আমার ভোটার আইডি র্কাড হারিয়ে ফেলেছি এবং আমার ওই আইডিতে আমার নাম ভুল। আমি কি নতুন করে ভোটার হতে পারবো আগের টা বাদ দিয়ে।
উত্তরমুছুননা নতুন করে ভোটার হতে পারবেন না। নতুন করে ভোটার হলে বিপদ বাড়তে পারে। যেহেতু আপনার এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেছে এবং তাতে নাম ভুল আছে। সেহেতু হারানো এনআইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন না করে একবারে এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধনের আবেদন করতে হবে। নাম সংশোধন হয়ে গেলে নতুন একটি কার্ড চলে আসবে।
মুছুনআমি আমার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেলেছি যার আইডি নং, জন্ম তারিখ আমার মনে নেই। আমার কোনো স্কুল সার্টিফিকেটও যে সেখান থেকে জন্ম তারিখ বের করবো। এমন অবস্থাই আমার কি করণীয় বা কি করলে আমার আইডি কার্ড পাবো ???
উত্তরমুছুনআপনি যে এলাকার ভোটার ওই এলাকার ভোটার তালিকায় আপনার নাম ঠিকানাসহ ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর আছে। ভোটার তালিকা থেকে ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিয়ে গেলে তারা আপনাকে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে দেবে। এনআইডি নম্বর হাতে পাওয়ার পর অফিসে অথবা অনলাইনে এনআইডি রিইস্যু এর আবেদন করতে হবে। তাহলে ৫-৭ দিনের মধ্যে নতুন একটি এনআইডি কার্ড পেয়ে যাবেন। ভোটার তালিকা দেখার উপায় সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম আমার এনআইডি কার্ড ভুল সংশোধন করার জন্য আবেদন করেছি ফাইল জমা দেই নাই ওই ফাইলটা কি অফিসে জমা দিতে হবে না আবেদনে জমা হয়ে গেছে পিলিজ জানাবেন??
উত্তরমুছুনযদি অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করেন এবং আবেদনের সময় যাবতীয় কাগজপত্র আপলোড করে দেন তাহলে নতুন করে আর কাগজপত্র নিয়ে অফিসে জমা দিতে হবে না।
মুছুনআমার ওয়াইফ ভুল বশত দুই বার ভোটার হওয়ার পর এন আই ডি কার্ড ব্লক হইয়া গেছে।এখন আমাদের কি করণীয়।অনেক জায়গাতেই গেছি কিন্ত সঠিক সমাধান পাই না।
উত্তরমুছুনআপনার স্ত্রী প্রথমবার যেখানে ভোটার হয়েছিলো সেখানকার ভোটার তালিকায় দেখেন নাম আছে এবং ১২ সংখ্যার ভোটার নম্বর আছে। সেই ভোটার নম্বর সংগ্রহ করে নির্বাচন অফিসে নিয়ে গেলে তারা এনআইডি নম্বর বের করে দেবে। এনআইডি নম্বর পাওয়ার ভোটার এলাকা স্থানান্তর করে নিজের এলাকায় নিয়ে আসুন তারপর রিইস্যুর আবেদন করে এনআইডি কার্ড উত্তোলন করে নিন। আর যদি দুইটা ভোটার তথ্যই যদি ডিলেট হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
মুছুনআমি নতুন নিবন্ধন ফরম পূরণ করেছি,,,,এবং ছবি ও finger দিযেছি,,,এখন কথা হচ্ছে finger দেওয়ার কইদিন পরে,,,আমার আবেদন টা অনলাইন হবে,,,বা আমি অনলাইন কপি কইদিন পরে তুলতে পারবো????
উত্তরমুছুনফিংগার দেয়ার কত দিন পর অনলাইনে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারবে না। এটা যারা কাজ করবে তাদের উপর নির্ভর করে। কখনো কখনো ৫-৭ দিনের মধ্যে হয়ে যায় আবার কখনো এক মাস সময় লেগে যায়। তবে যখনই আপনার তথ্য অনলাইন আসবে ঠিক তখনই আপনার মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে এনআইডি নম্বর প্রেরণ করা হবে। অর্থাৎ আপনি এনআইডি নম্বর পাওয়ার সাথে সাথে অনলাইন থেকে নতুন ভোটারদের Nid Card Download করতে পারবেন।
মুছুনবয়স বাড়িয়ে ভোটার হইছি এখন আমার এসএসসির সার্টিফিকেটর সাথে কোন নাম এবং বয়স মিল নেই।।আবেদন করছিলাম এসএমএস Dear MD MOYNUL HASAN, for your card application with id NIDCA7389169,
উত্তরমুছুনAdd these documents:
and ভোটার 2017 সালে, দাখিলকৃত সনদ অনুযায়ী এনআইডি ডাটাবেজের তথ্য সংশোধন করা হলে ভোটার নিবন্ধনকালীন অপ্রাপ্তবয়স্ক ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন, আবেদন বাতিল করা হলো
- EC, Bangladesh এই টা।।এখন উপায় কি?
কোন উপায়ই তো দেখতে পারছি না যে আপনাকে পরামর্শ দেবো। আপনি ২০১৭ সালে ভোটার হয়েছেন কিন্ত তখন আপনার ভোটার হওয়ার বয়সই হয়নি। সার্টিফিকেট গোপন করে বয়স বেশি দেখিয়ে ভোটার হয়েছেন। আপনার আবেদন যদি তারা অনুমোদন করে তাহলে আপনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন। আপনার আবেদন অনুমোদন করলে নির্বাচন কমিশন নিজেই একটা অন্যায় কাজ করবে। সেই কারণে আপনার Nid Card সংশোধনের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। আপনার Nid Card এ যে নাম এবং বয়স আছে সেটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন অথবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন তিনি কিছু করে দিতে পারে কি না। তাছাড়া এ বিষয়ে তেমন কোন পরামর্শ আমার দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
মুছুনযেহেতু আপনার জন্ম তারিখে এত বড় ভুল রয়েছে সেহেতু উচিত ছিলো আগে সার্টিফিকেট সংশোধন করে নিয়ে তারপর নতুন ভোটার হওয়া। তা তো করেননি এখন ২ বছরের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। যাই হোক, আগে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং সার্টিফিকেট সংশোধন করুন। তারপর এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য আবেদন করুন। আবেদনের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাপোর্টিং ডকুমেন্ট জমা দেবেন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে ১৭ই জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখের মধ্যেই এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করুন। তাহলে বিনা ফি তে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন এবং তুলনামূলক সহজে আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। আর উক্ত তারিখের পরে আবেদন করলে এনআইডি সংশোধনের নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
মুছুনআমার ভাই সিলেটের খাদিম পাড়া এলাকায় ভোটার হয়েছিল। আমাদের কাছে তার অনলাইন আইডি কার্ড আছে। এন আইডি কার্ড পায়নি। এন আইডি স্লিপ আছে। স্লিপ নম্বর 38874877। কিন্তু উপজেলা থেকে বলছে ডুপ্লিকেট ভোটার এর কারণে স্ট্যাটাস ডিলিট হয়ে গেছে। কিন্তু উপজেলায় আমাদের কাছে যে অনলাইন কপি আছে সেটা ছাড়া আর কোন জায়গায় ভোটার হয়েছে তার কোন ঠিকানা নেই। সে আসলে একবারই ভোটার হয়েছে কিন্তু কোন কারণে স্ট্যাটাস ডিলিট হয়ে গেছে। এখন আমাদের করনীয় কি?
উত্তরমুছুনএকাধিকবার ভোটার না হলে ভোটার তথ্য ডিলিট হওয়ার তেমন কোন সুযোগ নেই। তারপরও কখনো কখনো ব্যতিক্রম হতেই পারে। এখন আপনার ভাইকে বলবেন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে যেতে। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত খুলে বলতে হবে। তারা হাতের ছাপ নিয়ে আইডেন্টিটি ভেরিফাই করে বলে দেবে সে কয়বার ভোটার হয়েছে এবং যে ভোটার তথ্যটি বহাল আছে সেটির আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে দেবে। আর যদি একাধিক আইডি না পাওয়া যায় তাহলে ডিলিট হওয়া আইডি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ চাইতে হবে।
মুছুনদুইবার ভোটার হওয়ার কারনে নির্বাচন কমিশন অফিস বরাবর কিভাবে ক্ষমাসুন্দর দরখাস্ত লিখতে হয়?
উত্তরমুছুনআবেদন লেখার নিয়ম একই। দুইবার ভোটার হওয়ার কারণে যে দরখাস্তটি লিখবেন সেটিও একই নিয়ম অনুযায়ী লিখবেন। শুধু আবেদনের বডিতে আপনার মনের কথাগুলো লিখে দেবেন। প্রথমে কোথায় ভোটার হয়েছেন দ্বিতীয়বার কোথায় ভোটার হয়েছেন এবং না বুঝে ভোটার হয়েছেন। তাই বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে প্রথমবারের ভোটার তথ্য বহাল রাখার জন্য এবং দ্বিতীয়বারে ভোটার তথ্য বাতিল করার জন্য অনুরোধ করবেন।
মুছুনAmi ai bochor mane 2022 er september month a new voter registration korechi ....Ami prai 4 years theke porasona kori na ...Akhon kotha hocche amar ager jonmo nibondhon unujayi psc o jsc exam diyechilam ...tai amar certificate a amar boyos 6.10.2003 deoa ache ...Jonmo nibodhon digital korte giye jonmo sal 6.10.2001 kore diyeche ...onek din pora sona kori na ..Akhon vabchi sueu korbo to digital jonmo sonod diye new voter registration kore felechi akhon ami kivabe voter registration a jonmo sal changes korte parbo
উত্তরমুছুনআগে জন্ম সনদটি সংশোধন করে সার্টিফিকেট অনুযায়ী করে নিন। তারপর সংশোধিত জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট দিয়ে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করুন। আগামী জানুয়ারী মাসে ২০২২ সালের ভোটারদের তথ্য বিনা ফি তে সংশোধনের সুযোগ দেবে। তখন অফিসে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করবেন ঠিক হয়ে যাবে।
মুছুননতুন ভোটার হবার জন্য রেজিঃ করেছি কিন্তু রেজিঃ ফ্রন্ট ভেঙ্গে গিয়েছে।সেই ফর্ম জমা দেইনি।নতুন করে আবার রেজিঃ করতে চাচ্ছি এবং স্থায়ী ঠিকানা রেজিঃ পত্রে পরিবর্তন করতে চাচ্ছি।কোন কি সমস্যা হবে?
উত্তরমুছুনবি.দ্র: রেজিঃ ফর্ম জমা দেইনি।
সমস্যা হতেই পারে। যেমন একই নাম এবং জন্ম তারিখ দিয়ে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ নাও দিতে পারে। আবার পুনরায় রেজিস্ট্রেশন যদি হয়ও তাহলে ফন্ট ভেঙ্গে যাওয়া কি বন্ধ হবে? সেদিকেও একটু লক্ষ্য রাখবেন। অনলাইনে একাধিকবার নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করলে তেমন কোন সমস্যা হয় না। তবে একাধিকবার আবেদন সাবমিট করা উচিতও না। যদি প্রথম আবেদনে ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই দ্বিতীয়বার আবেদন করতে হবে। তার পূর্বে ভুল হওয়া আবেদনটি বাতিল করে দেয়া উচিত। অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন বাতিল করার নিয়ম কি সে বিষয়ে আমি একটি পোষ্ট দিয়েছি। প্রয়োজনে পোষ্টটি পড়ুন এবং উক্ত উপায়ে ভুল হওয়া আবেদনটি বাতিল করুন। তারপর পুনরায় আবেদন করুন।
মুছুনআসসালামু আলাইকুম। অনুগ্রহপূর্ব প্লিজ একটা পরামর্শ দেন। আমি একজন কোরআনের হাফেজ আমার কোন সার্টিফিকেট নেই, আমার এনআইডি কার্ডে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অন্যান্য দেওয়া আছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমার এনআইডি কার্ডে বাংলাতে আমার নাম একটা আকার ভুল আছে, পরে আমি ঠিক করতে চাইলে একজন বলল যে আগে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করতে হবে, কিন্তু আমার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ছিল না, তো আমি ঢাকাতে থাকি এখানেই এক লোককে বলছিলাম সে বলল যে আমি করে দিব, পরে সে করে দিয়েছে কিন্তু আমার ওইখানে জন্ম নিবন্ধন দেওয়া আছে জন্মস্থান ঢাকা, কিন্তু আমার এনআইডি কার্ডের জন্মস্থান দেওয়া আছে সিরাজগঞ্জ এখন আমি এটা পরিবর্তন করব কিভাবে আমার তো কোন সার্টিফিকেট নেই আমি কোরআনের হাফেজ এবং আমার এনআইডি কার্ডে নাম দেওয়া আছে " মোঃ জাকরিয়া হোসেন"একটা আকার ভুল কিন্তু নতুন যে জন্ম নিবন্ধন করেছি সেখানে নাম দেওয়া আছে "জাকারিয়া মোহাম্মাদ" এখন আমি কি করতে পারি।
উত্তরমুছুনখুব বেশি চিন্তিত হবেন না। আপনার যে অনলাইন জন্ম সনদটি আছে সেটি দিয়েই এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য আবেদন করুন। জন্মস্থান আলাদা হওয়ার কারণে তেমন কোন সমস্যা হবে না। আবেদনের সাথে আপনার স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি এবং কাবিননামার কপি জমা দেবেন। তাহলেই নামের এই সাধারণ ভুলটি সংশোধন হয়ে নতুন এনআইডি কার্ড চলে আসবে।
মুছুনআমি ভুল করে ২ বার ভোটার হয়েছি। আমার আইডি এখন শো করে না। প্রথম বারের কার্ডে ভুল করে আমার নামের পরিবর্তে আমার ছোট ভাইয়ের নাম চলে আসছে। আমি ২য় বারের কার্ডটি রাখতে চাই কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ১ম কার্ড চালু হয় যেখানে নাম ভুল আসছে। আমি কি করতে পারি? আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনযদি প্রথমবারের এনআইডি কার্ডটি সচল থাকে তাহলে উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দিয়ে নাম সংশোধনের আবেদন করুন, ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি প্রথম এবং দ্বিতীয়বারের ভোটার তথ্য দুইটাই বাতিল/ডি'লেট হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
মুছুনআপনি তো ২০১৯ সালে একবার ভোটার হয়েছেন। এখন পুনরায় আরো একবার ভোটার হলে সেই ভোটার তথ্য বাতিল হয়ে যাবে, আপনার নামে মামলা হতে পারে। মূল কথা দ্বৈত ভোটার হলে কোন লাভ তো হবেই না বরং বিপদে পড়তে পারেন।
উত্তরমুছুনসুতরাং ২০১৯ সালে ভোটার হওয়ার পর যে কার্ডটি পেয়েছেন সেটি দিয়েই কাজ করুন। আর যদি এখনো এনআইডি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
আমি ওনলাইনে দুবার আবেদন করেছি কিন্তু ওগুলো ডিলিট করে নতুন করে আবেদন করতে চাচ্ছি এতে আমার কিহ করোনিয়ো।
উত্তরমুছুনযদি পূর্বের আবেদনগুলো বাতিল করতে চান তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে অফিস থেকে আগের আবেদনগুলো বাতিল করে দেবে। অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন বাতিল করার বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে একটি পোষ্ট করা হয়েছে। লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার করণীয় কি।
মুছুন